অসীমলাল মুখার্জি, রিষড়া, ১৫ সেপ্টেম্বর: গত ১৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার রিষড়ার প্রেম মন্দির আশ্রমে আয়োজন করা হয় এক স্মরণ সভার। দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির-এর পক্ষ থেকে উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তীর প্রয়াত মা, স্বর্গীয় নমিতা চক্রবর্তীকে স্মরণ করা হয় এদিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের সম্পাদক শ্রীমৎ নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী, ড. মানবেন্দ্র রায়, সমাজসেবী পীযূষ দেব, দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের সভাপতি সুশান্ত মজুমদার, সম্পাদক মিলন খামারিয়া সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান, সুপ্রতিম চক্রবর্তীর কণ্ঠে। রেনুকা সাধুখাঁ-এর নেতৃত্বে কীর্তন পরিবেশিত হয়। নমিতা চক্রবর্তীর স্মৃতিচারণে বক্তব্য রাখেন ড. তপন চক্রবর্তী। গানে, আবৃত্তিতে ও বক্তব্যে নানা ভাবে তাঁকে স্মরণ করেন উপস্থিতরা।
সভাপতি সুশান্ত মজুমদার বলেন, “স্বর্গীয় নমিতা চক্রবর্তী শুধু একজন মা নন, তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর মতো মা-ই পারেন ড. কল্যাণ চক্রবর্তীর মতো সুসন্তান গড়ে তুলতে।” একই সঙ্গে তিনি তুলসীর মাহাত্ম্য তুলে ধরে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তুলসী পূজন দিবস পালনের আহ্বান জানান।
সম্পাদক মিলন খামারিয়া জানান, “ভালো সন্তান চাইলে আগে ভালো মা তৈরি করতে হবে। আজকের দিনে একান্নবর্তী পরিবারের শিক্ষা আবার মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। মায়েরা সন্তানকে ত্যাগ ও একতার শিক্ষা দিন— সমাজ তবেই সঠিক পথে এগোবে।”
শ্রীমৎ নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয় মাতৃভাবনা: “মাতৃসাধনার মধ্যেই দেশের সাধনা লুকিয়ে আছে। নমিতা দেবী ছিলেন সফল মা। তাঁর জন্যই কল্যাণ চক্রবর্তীর মতো সন্তান জন্মেছেন।”
অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী নিজে বলেন, “মায়ের বিয়োগের দুঃখের মাঝেও দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের এই আয়োজন আমাকে আশ্বস্ত করেছে। আনন্দ বা বেদনা— যেকোনো অনুভূতিকে যদি আমরা মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত করি, তবে সমাজ মূল্যবোধে সমৃদ্ধ হবে।”
