November 1, 2025
দেশ

এসট্রাইড ২০২৫-এ প্রতিরক্ষা সচিবের প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আহ্বান

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও শিল্পশক্তি যুদ্ধের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—এমন মন্তব্য করে প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহ আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি শিল্পখাত, ডিআরডিওসহ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং একাডেমিয়ার মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করার।শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পুনেতে দক্ষিণ কমান্ডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এসট্রাইড ২০২৫ সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

এবারের সেমিনারের মূল বিষয় ছিল ‘Synergy of Technology, Research and Defence Ecosystem’।প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, বর্তমান প্রযুক্তি-বিপ্লব কেবল যুদ্ধের চরিত্রই বদলাচ্ছে না, শিল্পক্ষেত্রকেও রূপান্তরিত করছে। তাই আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণে সবার উচিত সর্বশেষ প্রযুক্তিগত প্রবণতা সম্পর্কে অবগত থাকা এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করা।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সিংহ জোর দিয়ে বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পকে দেশের উৎপাদন খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত এগোতে হবে, যাতে ২০৪৭ সালের মধ্যে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিসহ উন্নত ভারত গড়া সম্ভব হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, এই রূপান্তর প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলা, শিল্পভিত্তি প্রসারিত করা, জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অংশ বাড়ানো, কর্মসংস্থান তৈরি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল পেতে।চলমান আন্তর্জাতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে প্রতিযোগিতামূলক জনতুষ্টি নীতি, অর্থনৈতিক সুরক্ষাবাদ, বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা এবং জাতীয়তাবাদের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের নরম শক্তিকে সমর্থন দিতে হবে, কারণ কঠোর শক্তির গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।

”তিনি আরও জানান, প্রতিরক্ষা ক্রয় ম্যানুয়াল ২০০৯ ও প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ২০২০ সংস্কার করা হচ্ছে, যাতে সেগুলো আরও গতিশীল ও ফলাফলনির্ভর হয়। পাশাপাশি বেসরকারি খাত ও স্টার্টআপের জন্য প্রবেশ বাধা কমানো, তৃণমূল পর্যায়ের উদ্ভাবন উৎসাহিত করা এবং প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন।বেসরকারি শিল্পের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিরক্ষা সচিব গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উৎপাদন ক্ষমতায় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে অর্ডার নিয়মিত আসে না, তবে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল দক্ষতা থাকলে অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিকে থাকা সম্ভব।অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধীরজ সেঠ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় আত্মনির্ভরতা অর্জনে Whole-of-Nation দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

Related posts

Leave a Comment