আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় রাজনৈতিক বার্তা দিলেন বহুজান সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনও জোটে না গিয়ে তাঁর দল এবার একাই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবে।লখনউতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে টানা দু’দিনের পর্যালোচনা বৈঠক করেন মায়াবতী। সেখানে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কর্মসূচির খসড়া—সবকিছুর রূপরেখা ঠিক হয়। রবিবার শেষ হওয়া ওই বৈঠকে রাজ্যের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন তিনি এবং নির্বাচনের আগে কীভাবে সংগঠনকে আরও সক্রিয় করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে তিনি সারা রাজ্যে বিস্তৃত প্রচার কর্মসূচির অনুমোদন দেন। আগামী মাসের শুরু থেকে একাধিক জনসভা, প্রচারসভা ও গণসংযোগ অভিযান শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলি দূর করতে হবে এবং সর্বোচ্চ শ্রম, অর্থ ও দায়বদ্ধতা দিয়ে নির্বাচনে শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে হবে।
এই প্রচারের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএসপি-র ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর আকাশ আনন্দ, সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেটর ও রাজ্যসভার সাংসদ রামজি গৌতম এবং বিহার রাজ্য ইউনিটকে।বিহারের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে রাজ্যকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একাধিক শীর্ষ নেতা, যাতে স্থানীয় স্তরে সংগঠন আরও সুদৃঢ় হয় এবং প্রচার কার্যকর হয়।বৈঠকে বিএসপি নেতৃত্ব আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছে যে, পরিবর্তিত রাজনৈতিক সমীকরণে বিহারে আগের তুলনায় দলেরপারফরম্যান্স উন্নত হবে।
এছাড়া মায়াবতী জানান, ওড়িশা ও তেলেঙ্গানায়ও একই রকম প্রস্তুতি চলছে। উত্তরপ্রদেশ মডেল অনুসরণ করে সেখানেও জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত কমিটি গড়ে সংগঠন শক্তিশালী করা হচ্ছে এবং গণভিত্তি বাড়ানো হচ্ছে।
