ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী ৩১ আগস্ট চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন।মোদির এই চীন সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক টানাপোড়েন এবং রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটের মধ্যেই ঘটছে।
আগস্ট ১৯-এ নয়াদিল্লিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন, কাজানে গত বছরের বৈঠকের পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীল ও ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, স্থিতিশীল, পূর্বানুমেয় ও গঠনমূলক সম্পর্ক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।এবারের সফর মোদির সাত বছর পর প্রথম চীন ভ্রমণ এবং ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো চীনা মাটিতে তার উপস্থিতি।কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতা সর্বশেষ বৈঠক করেছিলেন।
এর পর ভারত-চীন সীমান্তে টহল সম্পর্কিত এক চুক্তি হয়, যা চার বছরের দীর্ঘ উত্তেজনার অবসান ঘটায়।চীনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং সম্প্রতি বলেন, মোদির এই সফর শুধু এসসিও নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নেও নতুন গতি আনবে।চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে মোদি এসসিও সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী আবারও সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, ন্যায্য ও উভয়পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে সীমান্ত ইস্যু মেটানো দরকার।এসসিও গঠিত হয়েছিল ২০০১ সালে সাংহাইয়ে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো — চীন, রাশিয়া, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান ও বেলারুশ। এছাড়া আফগানিস্তান ও মঙ্গোলিয়া পর্যবেক্ষক দেশ এবং আরও ১৪টি দেশ সংলাপ অংশীদার হিসেবে যুক্ত।
