November 1, 2025
বাংলাদেশ বিদেশ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতা মহামারীর রূপ নিয়েছে

শুক্রবার হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ (HRCBM) জানিয়েছে, মুহাম্মদ ইউনুস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ ধরনের অপরাধ মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

ঢাকাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য উদ্ধৃত করে HRCBM জানায়, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে অন্তত ৩৪২টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ শতাংশ ভুক্তভোগীই ছিলেন ১৮ বছরের নিচে, এবং ৪০ জন শিশু ছিল মাত্র ছয় বছর বা তার কম বয়সী। শিশু ও কিশোরীদের ওপর গণধর্ষণের ঘটনাও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


সংস্থাটি আরও জানায়, এই পরিসংখ্যান কেবল বরফের চূড়া, প্রকৃত সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সামাজিক কলঙ্ক, প্রতিশোধের ভয় ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবিশ্বাসের কারণে অধিকাংশ ঘটনাই রিপোর্ট হয় না। সংখ্যালঘু নারী ও শিশুরা ধর্মীয় পক্ষপাতের শিকার হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে আরও বেশি বাধার সম্মুখীন হয়। কিছু ক্ষেত্রে মহিলাদের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার হয়েছে, যা ঘটনার নৃশংসতার ভয়াবহ প্রমাণ বহন করে।


সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নভেম্বর থেকে মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র দাসকে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও রয়েছে। তার জামিন আবেদন মাসের পর মাস ঝুলে আছে, যা বিচার ব্যবস্থার অকার্যকারিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে HRCBM বর্ণনা করেছে।

HRCBM বলেছে, দাসের অপরাধ কেবল সংখ্যালঘুদের অধিকারের পক্ষে কথা বলা কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।

সংস্থাটি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছে। তারা নারী ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার মহামারী বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো বর্বরতার বিরুদ্ধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।
পাশাপাশি তারা দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ, কাঠামোগত সংস্কার ও সংখ্যালঘু নারী-শিশুদের জন্য বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Related posts

Leave a Comment