শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিহারে যেসব ভোটার আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তারা পুনর্ভর্তির জন্য প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, বিদ্যমান ১১টি গ্রহণযোগ্য নথির পাশাপাশি আধারকেও যুক্ত করতে হবে। 
ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) নিয়ে দায়ের হওয়া আবেদনের শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করেছে যে, ভোটার পুনর্ভর্তির আবেদন আধার অথবা অন্য যে কোনো বৈধ নথি দিয়ে করা যাবে। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে জানায়, এত বড় আকারে তালিকা সংশোধন হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলো খুব একটা সক্রিয় ছিল না। মাত্র দুইটি আপত্তি দাখিল হয়েছিল বুথ-লেভেল এজেন্টদের (BLA) পক্ষ থেকে, অথচ এই সংশোধনের সময় প্রায় ৮৫ হাজার নতুন ভোটার যোগ হয়েছেন। বেঞ্চ জানায়, “আমরা অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করব, বাদপড়া ভোটাররা আধার বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য নথি জমা দিতে পারবেন।” 
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের বুথ-লেভেল এজেন্টরা যেন প্রায় ৬৫ লাখ বাদ পড়া ভোটারের মধ্যে যাঁরা জীবিত এবং অন্যত্র স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হননি, তাঁদের আবেদন দাখিল নিশ্চিত করেন। আবেদনের শেষ তারিখ ১লা সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালত আরও বলেছে, ফিজিক্যাল আবেদন জমা দেওয়া হলে ব্লক লেভেল অফিসাররা (BLO) তা গ্রহণ করবেন এবং রিসিট দেবেন, তবে রিসিট পাওয়া মানেই আবেদন সম্পূর্ণ হয়েছে—এটা নয়। 
আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে দায়ের হওয়া একাধিক আবেদন শুনবে। এর আগে নির্বাচন কমিশন একটি হলফনামায় জানিয়েছিল, প্রায় ৬৫ লাখ ভোটারের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তাঁদের তালিকা ইতিমধ্যে বিহারের ৩৮টি জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে এবং কারণগুলিও উল্লেখ করা হয়েছে—যেমন মৃত্যু, বাসস্থান পরিবর্তন অথবা ডুপ্লিকেট নাম। 
এছাড়া পঞ্চায়েত ভবন, ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং গ্রামীণ পঞ্চায়েত কার্যালয়গুলোতেও এই তালিকার কপি টাঙানো হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ সহজে দেখতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।

