ডিজিটাল যুগে ডেটা এখন এক নতুন সম্পদ। সেই সম্পদের ভাণ্ডার গড়ে তুলতেই বাংলায় শুরু হচ্ছে এক বিপ্লব। কলকাতার নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল সিটিআরএলএস (CtrlS DataCenters Ltd)-এর প্রথম ডেটা সেন্টার।
৫.৬ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই আধুনিক পরিকাঠামোর প্রথম পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী, ১৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২,২০০ কোটি টাকার বিশাল বিনিয়োগের মাধ্যমে তৈরি হতে চলা এই প্রকল্পে ৪০০-র কাছাকাছি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সংস্থার দাবি, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের প্রতিটি ডেটা সেন্টারেই পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ভারতে ডেটার চাহিদা যে হারে বাড়ছে—ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, ইউপিআই-এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন, ই-কমার্সের প্রসার এবং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার—তাতে দেশের ডেটা পরিকাঠামো দ্রুত সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ২০২৬ সালের শেষ বা ২০২৭ সালের শুরুতেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা সংস্থার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডেটা সেন্টার বান্ধব নীতি যে বড় ভূমিকা রাখছে, সেটাও স্পষ্ট করেছে সিটিআরএলএস। জমির স্ট্যাম্প ডিউটির সম্পূর্ণ ছাড়, প্রথম পাঁচ বছর বিদ্যুতের বিলে বিশেষ সুবিধা, একজানালা ব্যবস্থায় দ্রুত ছাড়পত্র—এসবই বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য রাজ্যকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
ডেটার চাহিদা যত বাড়ছে, ততই গড়ে উঠছে নতুন কর্মসংস্থানের পথ। তাই অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, নিউটাউনের এই এআই ডেটা সেন্টার শুধুমাত্র প্রযুক্তির পরিকাঠামো নয়, বাংলার ভবিষ্যৎ অর্থনীতির এক বড় ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।
