শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে সোনার দোকানে ডাকাতিরা ভাড়া থাকতেন শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরে। আর সেখান থেকে বসেই ডাকাতিরা ছকে বসেন তারা। বিয়ে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাড়ির মালিক স্বর্ণলতা ঘোষ বলেন এই মাসের ৯ তারিখে ৪ জন ভাড়া থাকবে বলে আসেন। সেইমতো আমি তাদের আধার কার্ড নিয়ে ভাড়া দিয়ে দেই। এরপর আস্তে আস্তে একজন দুজন করে আসতে থাকে মোট ১০ জন আসে। তার মধ্যে দুজন মহিলা ছিল। এবং আমি যখন বলি এইভাবে তো হবে না চারজন বলে আস্তে আস্তে ১০ জন।
তখনই সেই দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন বলেন যে সোমবার অন্য জায়গায় চলে যাবেন। আর আমি তো বুঝে উঠতে পারেনি তারা এরকম ঘটনা ঘটাবে। তাদের ব্যাপার খুবই ভালো ছিল। আর তারা বলছিলো আমাকে তারা নাকি রাস্তার কাজ করেন। এখন তো আমি ভয়ে আছি এরপরে আর ভাড়া দিব কিনা তা ভাবনা চিন্তা করব। অন্য এক প্রতিবেশী জানান তাদের ব্যবহার খুবই ভালো ছিল।
তারা বলতো তারা রাস্তার কাজ করত। তবে এই রকম ঘটনা ঘটাবে? আমরা কিভাবে বুঝবো। সূত্রের খবর দুষ্কৃতীদের তিনটি বাইক ছিল দুটি নীল রং এবং একটি সাদা রঙের। এই বিধান নগরের ভাড়াবাড়ি থেকেই শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে সোনার দোকানে ডাকাতের ছক কষে। উল্লেখ্য গতকাল অর্থাৎ রবিবার শিলিগুড়ির ব্যস্ততম রাস্তা হিলকার্ট রোডে একটি সোনার দোকানে ছয় থেকে সাত জন ক্রেতা সেজে ওই সোনার দোকানে ঢুকে। এরপর সোনার দোকানে থাকা স্টাফদের আগ্নেয়াস্ত দেখিয়ে সকলের হাত বেঁধে দোকানে থাকা সমস্ত সোনার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয়।
এরপরেই দোকানে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী ও স্টাফরা কোনমতে খবর দেয় পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা। এরপরেই গোটা এলাকা অর্থাৎ শহর শিলিগুড়ি বাইরে যাওয়ার সমস্ত রাস্তায় বসানো হয় নাকা তল্লাশি। এরপরেই এই ঘটনায় দুজনকে আটক করে পরবর্তীতে দুজনকে গ্রেফতার করে।
previous post