স্ত্রী দেখতে সুন্দরী, নাকটা সুন্দর আর সেই কারণেই নাকি অন্যদের নজর পড়ে স্ত্রীর উপর সন্দেহের বশে মদ্যপান করে ঘুমন্ত স্ত্রীর নাক কামড়ে উবরে নিল মদ্যপ স্বামী।
কন্যা সন্তান হওয়াতে নিজের স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নদীয়া শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোপালপুর মেলের স্ট্রিট এলাকায়। সূত্রের খবর অভিযুক্ত বাপন শেখ বিয়ের পর থেকেই থাকেন তার শ্বশুরবাড়ি বেরপাড়া এলাকাতে ভালোবেসে বিবাহ হলেও টাকা পয়সা এবং অন্যান্য কারণে নিয়মিত স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সন্দেহ। গভীর রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে তাকে মেরে ফেলার উদ্যোগ নেয়।
গতকাল আনুমানিক রাত দুটো নাগাদ স্ত্রী যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত বাপন শেখ বিছানার মধ্যে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে গলা টিপে ধরে স্ত্রীকে। সে বাঁচার জন্য ছটফট করলে তার বুকের উপর উঠে তাকে মারার উদ্দেশ্য নিয়ে গলা ঠেসে ধরে। অভিযুক্ত কে ধাক্কা মেরে বাঁচতে গেলে স্ত্রীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এরপরেই অভিযুক্ত স্বামী তার স্ত্রীকে কামড় দিয়ে নাক উপড়ে নিজের মুখে নিয়ে নৃশংসভাবে চিবাতে থাকে এবং হুমকি দেয় তাকে মেরে ফেলার, বলেই অভিযুক্ত বাপন শেখ স্ত্রীর বাঁ হাতের মধ্যমা আঙ্গুল কামড় দিয়ে অর্ধেক আঙুল ছিড়ে অঙ্গহানি করে তাকে। তার স্ত্রী বাঁচার জন্য চিৎকার করে উঠলে পাশের বাড়ি থেকে ছুটে আসে এক প্রতিবেশী, তাকেও নাকি অভিযুক্ত ওই যুবক শরীরের দুই হাতে আঙুলে কামড় দিয়ে অঙ্গহানি করে ও বুকের স্তনের কাছে কামড়ে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শান্তিপুর হাসপাতালে তারা চলে আসে চিকিৎসার জন্য। শান্তিপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তারা সম্পূর্ণ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শান্তিপুর থানায়।
আক্রান্ত গৃহবধুর অভিযোগ, কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই তার প্রতি অত্যাচার চালাতো স্বামীসহ তার শশুর বাড়ির পরিবার। তার আশঙ্কা রয়েছে যে কোনদিন তাকে এবং তার মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই কারণেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাদের অনুরোধ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
গৃহবধূর মায়ের অভিযোগ ঘর জামাই থেকেও জামাইয়ের এতই দুঃসাহস মেয়ে সুন্দরী হওয়ার কারণে তার নাক খুব সুন্দর হওয়ার কারণেই জামাই তা কামড়ে উপরে নেয়, জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে শাশুড়ি।
previous post