27 C
Kolkata
August 1, 2025
বাংলাদেশ

ডিসেম্বরে বাংলাদেশে নির্বাচন, ঘোষণা ইউনূসের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলাদেশে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো একাধিক রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, গদির লোভে ভোট করাচ্ছেন না ইউনূস। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হতে দেখা গেল সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সেনাশাসনের হুঁশিয়ারির পরই। এরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা, ডিসেম্বরেই হবে বাংলাদেশের নির্বাচন।

কয়েকদিন আগেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুলে সেনাপ্রধান অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি ঠিক না হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার কাঁধে তুলে নেবে সেনাবাহিনী।’ অর্থাৎ বাংলাদেশে সেনাশাসন জারি করার প্রত্যক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেনাপ্রধান। আর এরপরই ইউনূসের ঘোষণা, ডিসেম্বরেই নির্বাচনের পথে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রসঙ্গত দেশে দ্রুত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিল মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই সরকারের বিরুদ্ধে সেনা থেকে শুরু করে বেশ কিছু দল অভিযোগ করে, নির্বাচন না করে যেভাবে হোক শাসন ক্ষমতায় থাকতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। একের পর এক দাবি উঠতে থাকে শীঘ্র নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার। তারপর অন্তর্বর্তী সরকার ভোট করার কথা বললেও তা সংস্কারের নামে পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

জানা গিয়েছে, বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জার্মান সরকারের কমিশনার জারাহ ব্রুনের সঙ্গে দেখা করেন ইউনূস। জার্মানি ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। সেই বৈঠকেই ইউনূস জানান, ‘চলতি বছরের শেষে নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছে সরকার। নতুন বাংলাদেশের জন্য আপনাদের সবরকম সাহায্য দরকার। আমরা জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা পথে শপথ নিয়ে প্রথম থেকেই দেশ সংস্কারের উপরেই জোর দেন তিনি। যখনই তাঁকে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে তখনই ইউনূস বলেছেন, আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন। এর আগেও সেনাপ্রধানের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সেই সংস্কার কবে শেষ হবে তারও দিনক্ষণ জানাতে পারেননি ইউনূস।

সোমবার বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বলেন, ‘যতদিন না বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমিই সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করব। আগামী দিনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সেনা নেবে। আমরা প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলাম এই সব কাজ তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমরা ব্যারাকে ফিরে যাব। কিন্তু এখন দেখছি আমাদেরই কাজ করতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছি। কিন্তু এখন আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

Related posts

Leave a Comment