গুয়াহাটি, ৩ জুলাই: আসামে বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ)-র প্রতিবেদন অনুসারে, ২ জুলাই তিনসুকিয়া জেলায় দুইজন মারা যায়। ধেমাজি জেলায় একজন মারা যায়। এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ ২৮টি জেলার ১১.৩৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলি হল কামরূপ, তামুলপুর, চিরাং, মরিগাঁও, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, ডিব্রুগড়, করিমগঞ্জ, উদালগুড়ি, নগাঁও, বোঙ্গাইগাঁও, সোনিতপুর, গোলাঘাট, হোজাই, দাররাং, চরাইদেও, নলবাড়ি, জোড়হাট, শিবসাগর, কার্বি আংলজিপাড়া, মাজুলগঞ্জ, গোলাঘাট। , তিনসুকিয়া, কোকরাঝাড়, বরপেটা, কাছাড়, কামরূপ (M)।
শুধুমাত্র লখিমপুর জেলায় মোট 165319 জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারপরে দাররাং জেলায় 147143 জন, গোলাঘাট জেলায় 106480 জন, 101888 জন ধেমাজি জেলায় 101888 জন, তিনসুকিয়ায় 74848 জন, বিশ্বনাথে 73074 জন, চাচারাপুরে 69566561 জন, মাঝপুর জেলায় 695665 জন। মরিগাঁও জেলায় ৪৮৪৫২ জন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৪২৪৭৬.১৮ হেক্টর ফসলি জমি। বন্যার দ্বিতীয় তরঙ্গে 84টি রাজস্ব সার্কেলের অধীনে 2208 গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর নেয়ামতিঘাট, তেজপুর, গুয়াহাটি ও ধুবড়িতে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুবানসিরি নদী বাদাটিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চেনিমারি খোয়াংয়ে বুরহিডিহিং নদী, শিবসাগরে দিখৌ নদী, নাংলামুরাঘাটে ডিসাং নদী, নুমালিগড়ে ধানসিরি (এস) নদী, এনটি রোড ক্রসিংয়ে জিয়া-ভারালী নদী, এনএইচ রোড ক্রসিংয়ে পুথিমারি নদী, কামপুরে কপিলি নদী, রোড ব্রিজে বেকি নদী, করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদী, বিপি ঘাটে বরাক নদী, ঘরমুড়ায় ধলেশ্বরী নদী।
প্রশাসন বন্যা কবলিত জেলাগুলিতে 489টি ত্রাণ শিবির এবং বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে যেখানে প্রায় 2.87 লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন।
বন্যার পানি ঘরে ঢুকে পড়ায় অনেক বন্যাকবলিত মানুষ নিরাপদ স্থানে, উঁচু জমি, স্কুল ভবন, রাস্তাঘাট, সেতুতে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন, সেনা, আধাসামরিক বাহিনী, এসডিআরএফ এবং সার্কেল অফিসের উদ্ধারকারী দলগুলি অনেক জায়গায় উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত রয়েছে এবং মঙ্গলবার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় 2900 জনকে উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার প্রশাসন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে 10754.98 কুইন্টাল চাল, 1958.89 কুইন্টাল ডাল, 554.91 কুইন্টাল লবণ এবং 23061.44 লিটার সরিষার তেল বিতরণ করেছে এবং গবাদি পশুর খাদ্যও সরবরাহ করেছে। ASDMA বন্যা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে 832099 পশুও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বন্যার পানিতে ৭৪টি সড়ক, ৬টি সেতু ও ১৪টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৫টি বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।
আসামে গত ২৪ ঘন্টায় বন্যায় মৃত ৩৮
