পারুল খামারিয়া, ৩০শে জুন, কলকাতা: গতকাল ৫০, বলদেওপাড়া রোড, দ্বিতল ভবনে ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ন্যাস’ নিবেদিত ‘সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ’ -এর পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় মানিকতলা স্থিত ‘কলা স্যন্দন’ সভাকক্ষে ‘নমামি গঙ্গে’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সমাজসেবী ড: কল্যাণ চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কার ভারতীর কেন্দ্রীয় সমিতির অন্যতম সম্পাদিকা নীলাঞ্জনা রায়, কেন্দ্রীয় কোষটোলির সদস্য ভরত কুণ্ডু এবং সংস্কার ভারতীর অন্যান্য সদস্য / সদস্যাবৃন্দ।
এদিন প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর অধ্যাপক চক্রবর্তীকে ফুল, মিষ্টি ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
অধ্যাপক চক্রবর্তী বলেন, “গঙ্গাকে আমরা মাতৃজ্ঞানে পুজো করি। কিন্তু সেই মা-কেই আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে- কখনও পুজোর ফুল, প্লাস্টিক সামগ্রী, বিভিন্ন মৃত পশু, কারখানার বর্জ্য, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক ধোঁয়া জল ইত্যাদির মাধ্যমে দূষিত করে চলেছি। আমরা যদি মা গঙ্গাকে বিশুদ্ধ না রাখি, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগব। এবং নিজেদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলব। তাই সবাই এগিয়ে আসুন। আসুন আমরা সবাই মিলে মা গঙ্গাকে পরিষ্কার রাখব। পরিষ্কার রাখার জন্য অন্যদেরও সচেতন করব। এই প্রতিজ্ঞা আজ এই সভামঞ্চ থেকে করি।”
নীলাঞ্জনা রায় বলেন, “গঙ্গা মা-কে মর্ত্যে আনার জন্য ভগীরথ তপস্যা করেছিলেন। আজ গঙ্গাকে মর্ত্যে স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ রাখার জন্য আমাদের তপস্যা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ভাবসঙ্গীত ও ‘গঙ্গার গান’ পরিবেশন করেন অজন্তা রায়, বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমা বসু, সুনীতা রায় কর্মকার, রূপা দে ও আশা বসাক। গঙ্গার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন প্রমিতি রায় ও সঞ্চিতা সরকার। বিশেষ অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী মিলন খামারিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রান্তের অন্যতম সম্পাদিকা মহাশ্বেতা চক্রবর্তী।
দোলন চক্রবর্তীর শান্তিমন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক আয়োজনে ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উত্তর কলকাতা জেলার কোষাধ্যক্ষ পার্থসারথি চক্রবর্তী।
