শঙ্কর মণ্ডল: রাজনৈতিক মতাদর্শের আজ আর কোনও মূল্য আছে বলে মনে হয় না। আর মানুষও এখন মতাদর্শ দেখে সমর্থন করে না। ব্যক্তিগত স্বার্থ এখন এমনভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যে, তাতে একটা বিরাট অংশের মানুষ যেমন আদর্শচ্যুত, তেমনি নেতারাও আদর্শচ্যুত। তবে আশাবাদী এই জন্য যে, রাত যত গভীর হয়, ভোর আসতে তত কম সময় লাগে। তাই এই রাজনৈতিক দৈন্যতা দূর করে স্বচ্ছ রাজনৈতিক পরিবেশ অবশ্যই ফিরে আসবে।
যাইহোক প্রধান বিরোধী দল আত্মসমালোচনা করে সঠিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবে কিনা, বা আবারও একই পরিকল্পনা বজায় রেখে মহান বৈজ্ঞানিক (গরুর দুধে সোনা আবিষ্কার) ও তথাকথিত সংগঠককে ফিরিয়ে আনবে কিনা তা জানি না। আর দিল্লির নেতাদের নিয়ে আমার কোনও আস্থা নেই। কারণ, সেরকম কোনও কিছু করে দেখাবে তার নিদর্শন এখনও পাইনি। ভবিষ্যতে পেলে তখন চিন্তা করব। তবে একটা বিষয় নিয়েই আমাদের মাঠে নামতে হবে। এই মুহূর্তে আবারও রাজনৈতিক হিংসা বাংলার সন্মান একেবারে তলানিতে ঠেকিয়েছে। আর এই হিংসায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মীরা মৃত্যুবরণ করেছে। আর এই মৃত ব্যক্তিদের অধিকাংশই গরিব পরিবারের সদস্য। এই মৃত্যুর পর ওই পরিবারগুলো এখন কী অবস্থায় আছে, তাঁদের পরিবারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কি কিছু উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?
আসলে রাজনৈতিক রং যাই হোক না কেন, মানুষকে হত্যা করা, আক্রমণ করা কখনও কোনও রাজনীতি হতে পারে না। আজ আদালত ভর্ৎসনা করেছে ঠিক, কিন্তু তাতেই কি এই হিংসা বন্ধ হবে? প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ! কিন্তু মানুষের কাছে এগুলো নিয়ে যেতে হবে। কারণ সরকার বা রাজনৈতিক দল যখন এই বিষয়ে কোনও কর্ণপাত করে না, তখন নতুনভাবে কিছু মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। সমস্ত মানুষের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য। আর শিক্ষিত, ভদ্র, সভ্য নাগরিক হিসেবে যারা পরিচিত, তাঁদের আমন্ত্রণ রইলো এই মহান বিপ্লবে। এখান থেকেই শুরু হতে পারে এই রাজ্যের নবজাগরণ।