শঙ্কর মণ্ডল: আবারও বাজি কারখানার আড়ালে বোমা বিস্ফোরণ ও তার থেকে মাত্র কিছুটা দূরে পরিত্যক্ত ইট ভাটায় অত্যাধুনিক গবেষণাগার। হ্যাঁ, এখানেও নাকি বাজি তৈরি হয়। কিন্তু এই সব কিছুর কিছুই নাকি জানেন না রাজ্যের প্রশাসন ও স্থানীয় বিধায়ক। এমনকি সর্বোপরি সরকার। স্থানীয় মানুষ বলছে, পুলিশ সব জানে। তাহলে এগরা বিস্ফোরণের পর মাননীয়া মুখ্যখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা অনুযায়ী, পুলিশের নজরদারি কোথায়? অর্থাৎ যা শোনা যাচ্ছে, সেটাই কি সত্যি? এই রাজ্যে এখন আরডিএক্স পর্যন্ত তৈরি হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিদেশী শক্তির গবেষণাগার। একদিকে ভারত বিশ্বগুরু হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথে। আর অন্যদিকে একটা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে একটা স্বেচ্ছাচারী ও দেশদ্রোহী সবজান্তা প্রমাণ করার চেষ্টা করা মহিলা এইভাবে ভারতের গর্ব পশ্চিমবঙ্গকে এভাবে শেষ করতে পারেন না।
সুতরাং আজ এই বাংলাকে রক্ষা করার দায়িত্ব সমস্ত জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক ও সর্বধর্ম সমভাবাপন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে। আর কোনও বিশেষ দলের কোনও তথাকথিত বিশেষ পদাধিকারী বা হিন্দুত্বের ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দেওয়া লোকেদের ওপর ভরসা না করে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আন্দোলন ও প্রতিবাদ করতে হবে। মৃত্যু বহুক্ষেত্রে হয়। মিজোরামের দুর্ঘটনায় মৃত্যু অবশ্যই দুঃখজনক। মণিপুরের প্রেক্ষাপটে যে ঘটনা ঘটেছে, যার প্রকৃত বিশ্লেষণ না করে রাজনীতি করার চেষ্টা। আর এই রাজ্যে যেকোনও অপরাধ রেজিষ্টার করতে বাধা দিয়ে এনপিআরসি রিপোর্ট অনুযায়ী নম্বর দেখিয়ে, যাঁরা এই রাজ্যে মানুষ সেভ এটা প্রমাণ করতে চায়; এগরা, বজবজ, মালদা থেকে শুরু করে আজকের দত্তপুকুরকে গুলিয়ে দিতে চায়, তাঁদের থেকে অবশ্যই দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। আসলে বর্তমান বাংলায় একদিকে দেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী কমিউনিস্ট, কংগ্রেস, তৃণমূল, অতিবাম যেমন মানুষের শত্রু; ঠিক তেমনি একদল ধান্দাবাজ সুবিধাবাজ সনাতনী মুখোশধারীও যথেষ্ট সক্রিয়। তাই এ লড়াই যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়।
লেখক সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধের সমস্ত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত।
আমাদের হোয়াটস্যাপ নাম্বার ৮৩৩৪৮৫৪৫৯০