31 C
Kolkata
April 13, 2025
কলকাতা

হাওড়ায় কারচুপি করে অধিকাংশ পঞ্চায়েত দখলের অভিযোগ

বিশেষ সংবাদদাতা, হাওড়া: রাজ্যজুড়ে ভোট লুটের অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত ভোট থেকে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের ওপর। এবার গণনায় কারচুপির অভিযোগে শুরু হয়েছে একের পর এক সংঘর্ষ ও অশান্তি। অন্যান্য জেলার মতো বাদ যায়নি হাওড়া জেলাও। এই জেলাতেও গণনাতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বালি-জগাছা, সাঁকরাইল, জগৎবল্লভপুর ও ডোমজুড় ব্লকের প্রায় সব পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। একচেটিয়া ক্ষমতা দখল করেছে শাসকদল। একইসঙ্গে অধিকাংশ পঞ্চায়েতই প্রায় বিরোধীশূন্য হয়ে পড়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জগৎবল্লভপুর ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতই শাসকদলের দখলে গিয়েছে। ডোমজুড় ব্লকের ১৮টি পঞ্চায়েতের একটিতে সিপিএম প্রথমে এগিয়ে গেলেও পরে পরাজয় হয়। সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।

যদিও বিরোধীদের দাবি, জোর করে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। একই পরিস্থিতি বালি-জগাছা ব্লকেও। সেখানে চূড়ান্ত অশান্তির জেরে গণনাকেন্দ্র অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দিনের শেষে ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েতে শাসকদল ক্ষমতা দখল করেছে। এরমধ্যে চামরাইল পঞ্চায়েতে একটি কংগ্রেস, সাপুইপাড়া বসুকাটিতে একটি নির্দল এবং দুর্গাপুর-অভয়নগরে বিজেপি দু’টি আসনে জয় লাভ করেছে। পাশাপাশি এখানে বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীর জেতার খবরও পাওয়া গিয়েছে। তবে আটটি পঞ্চায়েতে শাসক দলই এগিয়ে যায়। ফলে মোটামুটি জয়ের ট্রেন্ড শাসকদলের দিকেই। এদিকে পাঁচলা ব্লকেও সবুজের দাপট অব্যাহত ছিল। এ নিয়ে তৃণমূলের হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, মানুষের জন্য তৃণমূল যে ঢালাও উন্নয়ন করেছে, এটা তারই প্রমাণ। বিরোধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সেজন্য বিভিন্ন অভিযোগ করছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, মানুষের প্রকৃত রায়কে উপেক্ষা করে গণনার সময় ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। জোর করে পঞ্চায়েত দখল করা হয়েছে।

গণনার আগে থেকেই হুমকি ছিল বলে অভিযোগ করছেন হাওড়া জেলা পরিষদের বাম প্রার্থী দীপিকা ধর। তাঁর সংযোজন, বিভিন্ন গণনাকেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের এজেন্টদের। তবে দীপিকার দাবি, মানুষের ‘ভোট লুঠ’ আটকাতে পেরেছেন ‘কমরেডরা’। এবারে দলের কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন দীপ্সিতা। গণনার দিনও যে কারচুপি করা যায়, তা তাঁর আগে ধারণা ছিল বলে জানাচ্ছেন তিনি। ছাপ্পা, বুথ দখলের পরেও জিতবে না বলে ভয় পেয়েছে তৃণমূল, তাই গণনার দিনেও ঝামেলা, এমনই দাবি করছেন দীপ্সিতা। তাঁর মা-র আশঙ্কা, ভোটে জেতা-হারা তো থাকবেই, কিন্তু সমাজ যদি কলুষিত হয়ে যায়?

Related posts

Leave a Comment