18 C
Kolkata
December 24, 2024
রাজ্য

নতুন শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে স্যাক্টদের কাজের সময় ও গুরুত্ব বাড়াতে হবে

সংবাদ কলকাতা: রাজ্যের স্যাক্টরা বঞ্চিত আজও। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিতান্ত বাধ্য হয়ে উচ্চ শিক্ষায় কেন্দ্রের চালু হওয়া নতুন শিক্ষানীতি মেনে নিতে হল রাজ্য সরকারকে। শিক্ষামন্ত্রী যদিও বলেছেন, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এই নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হল। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছরের অনার্স কোর্স চালু হচ্ছে রাজ্যে। শুরু হয়ে গিয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। তবে এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য দরকার প্রচুর শিক্ষক। যার ঘাটতি অব্যাহত রাজ্যের কলেজগুলোতে। সরকার স্থায়ীর পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পক্ষপাতী। এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শিক্ষাবিদ মহল।

কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী কলেজের অস্থায়ী শিক্ষকদের এক ছাতার তলায় এনে SACT পরিচিতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের জন্য আজও পূর্ণাঙ্গ অর্ডার বেরোয়নি। নানা অসঙ্গতিপূর্ণ একটি মেমোরেন্ডাম দিয়েই কাজ চলছে। এই ঘোষণায় সব থেকে বেশি বঞ্চিত হয়েছেন সিনিয়র শিক্ষকরা। তাঁদের অভিজ্ঞতা হয়েছে মূল্যহীন। সামগ্রিক প্রাপ্তির থেকে অপ্রাপ্তিই বেশি। এখনও অবসরের বয়স ৬৫ বছর হয়নি। নেই নির্দিষ্ট পে-স্কেল, পিএফ, গ্রাচ্যুইটি, পেনশন।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় যাঁরা জীবনপাত করলেন, নিজেদের উজাড় করে দিলেন, তাঁরাই রয়ে গেছেন উপেক্ষিত ও বঞ্চিত। নিতান্তই ক্ষুব্ধ এই শ্রেণীর শিক্ষকরা। এদিকে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষাবিদ মহল।

ওয়েবস্যাক্টার রাজ্য সম্পাদক বিনয়কৃষ্ণ দাস বলেন, আমাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থা না করে নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না। ওয়েবস্যাক্টার রাজ্য সভাপতি অরুণ পাল জানান, সুনির্দিষ্ট কোনও পে -স্কেল চালু ও ৬৫ বছর পর্যন্ত কাজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে আমরা অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। আমাদের অভিজ্ঞতা আর মেধা দিয়ে শিক্ষক ঘাটতি অনেকটাই মেটা সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রী ও সরকার শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রাজ্যের অস্থায়ী শিক্ষকরা।

Related posts

Leave a Comment