স্বরূপনগরের বিথারীতে বাওড়ের জমি ভরাট, জমির চরিত্র বদলের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
বিথারি: স্বরুপনগরে জলভূমিকে বাস্তুতে রূপান্তর ও ভরাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূলেরই অপর আর গোষ্ঠী। সূত্রের খবর, মূলত তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। তবে এই ধরণের ঘটনা আরও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যেগুলি এখনও প্রশাসনের নজরে আসেনি।
প্রসঙ্গত বাংলার ভূমির একটি তথ্য থেকে স্বরূপনগর উত্তর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান মোল্লার একটি জমির বিস্তারিত তথ্য সামনে আসে। সেখানে দেখা যায়, বিথারী মৌজায় জিয়াউর রহমানের বাওড়ের ওই জমি গত ২৬ অক্টোবর বাস্তু বলে উল্লেখ রয়েছে। সেই জমি বর্তমানে বাস্তুতে রূপান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া হারান সর্দার নামে আরও একজন ব্যক্তির বাওড়ের বিরুদ্ধে জমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে গোটা স্বরুপনগরজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলের বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, রানী রাসমণির জামাতা মথুরামোহন বিশ্বাসের বিথারী গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন বাওড়ের জমির চরিত্র বদল করে বাস্তুতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এবং সেই জমি সম্প্রতি ভরাটও করা হচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্বরূপনগর বিএলআরও পলাশ বালা। তিনি নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ভরাট করা জমির মাটি তুলে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। সেইমতো হারান সর্দার মাটি তুলে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু তৃণমূলের বিথারী-হাকিমপুর অঞ্চল যুব সভাপতি মোস্তফা দালাল অভিযোগ করেন, জিয়াউর রহমানের নামের ওই জমি এতদিন রেকর্ডে বাওড় বলেই উল্লেখ ছিল। এখন হঠাৎ করে কী করে বাওড়ে রূপান্তরিত হল? এই নিয়ে এদিন বিএলআরও পলাশ বালার সামনে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকি সরাসরি বিএলআরও আধিকারিকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে জমির চরিত্র বদলেরও অভিযোগ তোলেন বিক্ষুব্ধরা। সেই প্রতিবাদের মুখে নীরব হয়ে যান স্বরূপনগর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক পলাশ বালা। তবে তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই ধরণের কোনও অপরাধের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।
উল্লেখ্য, মথুরামোহনের সেজো জামাই মথুরামোহনের বিথারী গ্রামের বাড়ির বিস্তীর্ণ সম্পত্তির পাশেই রয়েছে বাওড়। বাওড়ের অপর প্রান্তে রয়েছে বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয় ও বিথারী বাজার। দীর্ঘদিন ধরে এই বাওড়ের জলে মাছ চাষ এবং স্নানের কাজেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন সেটা মজে যেতে বসেছে।