কেবল জন্মসূত্রে ব্যানার্জী পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য এবং দীপক ঘোষের ইঙ্গিত অনুযায়ী এক বিশেষ ব্যক্তি হওয়ার জন্যই তিনি এখন নেতা। কারণ ওর কোনও রাজনৈতিক ইতিহাস নেই। কোনোদিনও পুলিশের অত্যাচারের মোকাবিলা করেন নি।
শঙ্কর মণ্ডল: মানুষ তার গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে, এটাই তো গণতন্ত্র। সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণ তাঁর মত প্রকাশের মাধ্যমে একজনকে জেতাবে, সেটাই নিয়ম। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা কি কখনো বলতে পারেন, মানুষ পাপ করেছে? এমনকি এও বলছেন যে, মানুষকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। আর সেই প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে, তার দলকে ভোট দেওয়া। আসলে এই নেতা কখনও রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াশোনা করেন নি।গণতন্ত্রের মানেও বোঝেন না। কেবল জন্মসূত্রে ব্যানার্জী পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য এবং দীপক ঘোষের ইঙ্গিত অনুযায়ী এক বিশেষ ব্যক্তি হওয়ার জন্যই তিনি এখন নেতা। কারণ ওর কোনও রাজনৈতিক ইতিহাস নেই। কোনোদিনও পুলিশের অত্যাচারের মোকাবিলা করেন নি। কোনও দিন দেওয়াল লেখেন নি,কখনও বুথে এজেন্ট হিসাবে বসেন নি। সরাসরি ক্ষমতার অলিন্দে বসে পড়েছেন। যিনি এই মূহুর্তে রাজ্য সরকারের কেউ নন, কেবলমাত্র একজন সাংসদ। এই রাজ্যে তাঁকে ছাড়াও আরও ৪১ জন সাংসদ আছেন। সুতরাং তাঁর এত ঔদ্ধত্য ও অহংকার আসে কী করে?তাঁর কত রোজগার? একজন সাংসদের যা মাইনে বা তাঁর যা ব্যবসা আছে, তাতে আয় কত? এই কথা বলছি এইজন্য, তিনি যেভাবে জীবনযাত্রা চালান, তাঁর বাড়ি যেরকম প্রাসাদসুলভ এবং তাঁর বাড়ির সামনে যেরকম পুলিশ পোস্টিং, যে পুলিশের মাইনে আমাদের করের টাকায় হয়। তাঁর পুরো হিসেব কি স্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করবেন? তাঁর অধিকৃত এমবিএ ডিগ্রিটা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। তাই এই চোর জোচ্চর অভিযোগে অভিযুক্ত যুবরাজ যেভাবে কথা বলছেন, তা গণতন্ত্রের লজ্জা। আর অপদার্থ অধ্যাপক দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই নেতাকে সমর্থন করতে গিয়ে কথায় কথায় সেক্সপিয়রের কথা বলেন। তাতে সেক্সপিয়রকে অপমানই করা হয়। আর এই যুবরাজ এখন আগামী নির্বাচন নিয়ে যেভাবে স্বচ্ছ ভোটের কথা বলছেন, তাতেই সংশয় আরও গভীর হচ্ছে। কারণ ও মুখে যেটা করতে বারণ করে, বাস্তবে সেটাই বেশি করে হয়। অর্থাৎ মানুষ প্রার্থীও বাছবে না, নমিনেশন ফাইল করতে বাধা দেওয়া হবে এবং ভোট লুঠ অনিবার্য হয়ে উঠবে।
মানুষ সুযোগ পেলেই এই তৃণমূলকে না বলে দেবে। আর কংগ্রস সিপিএম? এরা ৫০ বছর বাংলার মানুষকে ঠকিয়েছে। এই দীর্ঘ সময় নিজেদের মধ্যে কংগ্রেস সিপিএম গোপন সমঝোতা করে জনগণের সামনে প্রক্সি ওয়ার করত। আজ আবার নতুন করে এরা সাধু সেজে এখানে আবির্ভুত হয়েছে। তাই জনগণ ভুলেও এদের সমর্থন করবে না। তবে হিন্দুত্বের মুখোশ পরা কিছু তৃণমূলের দালালদের হইতে সাবধান। এরা শুধু জনগণকেই নয়, দিল্লীর সরকারকেও ভুল বোঝাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দফতরের টাকা নিয়ে এসে ১০০ শতাংশ তৃণমূলের ক্লাবকে টাকা পাইয়ে দিয়েছে।তৃণমূলের কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রক্সি সংগঠন দেখিয়ে, আগামী দিনে তৃণমূলকে ভোট দেবে। সেই সংগঠনকে টাকা পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা। এগুলো তথ্য সহকারে মেল করা শুরু হয়েছে। কারণ এই চোর তৃণমূল, যারা শিশুদের মিড ডে মিলের টাকা পর্যন্ত চুরি করে। যা রিপোর্টে ধরা পড়েছে। অর্থাৎ এদের চুরি এখন সর্বত্র। তাই এরা এখন হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে দালাল খুঁজছে। তারা সেই দালাল অনেক জায়গাতেই খুঁজে পেয়েছে। যাই হোক। যেভাবেই হোক, কিছু ভুলভ্রান্তি আছে। সেই লড়াই পরে হবে।