নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান রাজ্যের কলেজগুলিতে পঠন-পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের স্পষ্ট নির্দেশিকা না থাকায় এই শিক্ষকরা বঞ্চিত ও শোষিত হচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্বারা। এমনই অভিযোগ ওয়েবস্যাক্টা সংগঠনের নেতৃত্বের। কাজ ও বেতন বৈষম্যের শিকার হলেও তারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামিল হবেন না বলে জানিয়েছেন। সংগঠনের বর্ষীয়ান রাজ্য নেতৃত্ব বিধান মাহাতো বলেন, ‘আমরা সরকারকে সাথে নিয়েই দাবি পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার বিরোধী আন্দোলনের আমরা পক্ষপাতি নই।’
একই কথা জানান সংগঠনের আর এক রাজ্য নেতা বিনয় কৃষ্ণ দাস। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের কোনও শিক্ষক সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামিল হবেন না। বরং যাঁরা এহেন ঘৃণিত কাজ করছে, তাঁদেরকে ধিক্কার জানাচ্ছি। সততার সাথে আমরা সকলের ন্যায্য দাবি পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ‘সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব কল্যাণ, বিশ্বনাথ, তাপস, রিঙ্কুরা সম্মিলিতভাবে জানান, আমরা সরকারের কাছে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পে-স্কেল চালু ও ৬৫ বছরের কাজের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। নেতৃত্বের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্টেট এডেড কলেজ টিচার ব্যতীত রাজ্যের কলেজগুলি অচল।
তাই সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সংগঠনের তরফে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্বদের নিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের পাশাপাশি সংগঠনকে মজবুত করতে সকল SACT-দেরকে একত্রিত করা হচ্ছে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অরুণ কুমার পাল বলেন, ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমরা আস্থাশীল। আমাদের বিশ্বাস, তিনিই পারেন আমাদের দাবি পূরণে সঠিক মর্য্যাদা দিতে। আমার বিশ্বাস, আমাদের করুণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি বেতন কাঠামো ঘোষণা করবেন। আমরা সাংগঠনিকভাবে সরকারের পাশে আছি। ‘মুখ্যমন্ত্রী কবে দাবি পূরণ করেন এবং ঘোষণা করেন সেই প্রত্যাশায় দিন গুনছে রাজ্যের স্যাক্টরা।’
previous post