27 C
Kolkata
August 4, 2025
উত্তর সম্পাদকীয়

চাই শক্তিশালী প্রতিরোধ বাহিনী

শঙ্কর মণ্ডল: গাজোলের সভা থেকে কয়েক কোটি মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে মতুয়া ধর্মগুরু, যাকে ওনারা ভগবান বলে মনে করেন, সেই হরিচাঁদ, গুরুচাঁদকে রঘুচাঁদ, গরুচাঁদ বলে যে অপমান করেছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এরজন্য তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। বরং পরবর্তীকালে উনি সাফাই দিচ্ছেন যে, ওনার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু তাই নিয়ে কেউ কেউ নাচানাচি করছে। অর্থাৎ কোনও ভুল স্বীকার না করে অন্য লোকের সমালোচনা। একপ্রকার ঔদ্ধত্য বা অসভ্যতামি। আন্তর্জাতিক মতুয়া পরিষদ কলকাতার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে। এই বক্তব্যের জন্য অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। অন্যথা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার কথা ঘোষণা করে ও আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়।

আসলে মমতা ব্যানার্জি নিজেকে সর্বজ্ঞানী, সর্বক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন। তাঁর মিথ্যা ভাষণ, গ্যালারি শো, যা এখন ওর উপযুক্ত উত্তরসূরী, মানে মাননীয় যুবরাজ বা ভাইপোও ঠিক একইরকম ভাবে গ্যালারি শোতে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। প্রমাণ স্বরূপ আজ কেশপুরের সভায় মঞ্চে তিনজন স্বচ্ছ লোক উপস্থিত করে গ্যালারি শো অব্যাহত রাখলেন। আর এই পরিস্থিতিতে আজও বোমা শিল্পের প্রদর্শন প্রথমে বাসন্তীতে ও পরে বীরভূমে প্রদর্শিত হল। ফিরহাদ হাকিম যতই এর পেছনে বিজেপির যোগ দেখতে পান না কেন, আসলে এটা তৃণমূলের প্র্যাক্টিস ম্যাচ। তা জলের মত পরিষ্কার। তাই বাংলার সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। কারণ সমস্ত ঘটনার পেছনে জেহাদী যোগ অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই একে প্রতিহত করতে অবশ্যই চাই শক্তিশালী প্রতিরোধ বাহিনী।

Related posts

Leave a Comment