23 C
Kolkata
December 23, 2024
টিভি-ও-সিনেমা দেশ

ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় কঙ্গনা

Kangana on ‘Emergency’: সব সম্পত্তি বন্ধক রেখে ‘ইমার্জেন্সি’ ছবির শ্যুটিং শেষ করলেন কঙ্গনা, ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে

সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: গত ২১ জানুয়ারি কঙ্গনা রানাওয়াত প্রযোজিত এমার্জেন্সি ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। এই ছবির পরিচালনাও তিনি করেছেন নিজেই। প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে কঙ্গনা নিজেই অভিনয় করেছেন। অনুপম খেরকে এই ছবিতে জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় দেখা যাবে। মহিমা চৌধুরী, সতীশ কৌশিক, মিলিন্দ সোমান, প্রমুখকে দেখা যাবে। এই ছবি নিয়ে তিনি অনেকটাই আশাবাদী। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হল, দেশের জরুরি অবস্থার সময় দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি কী ছিল, তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা। সেজন্য এই ছবির অভিনয়, প্রযোজনা ও পরিচালনার জন্য তিনি প্রাণপণ নিজেকে লড়িয়ে দিয়েছেন।

ছবির শ্যুটিং চলাকালীন মাঝপথে অর্থের সঙ্কট তৈরি হয়। কিন্তু, সেজন্য তিনি দমে যাননি। ছবির শ্যুটিংও থামিয়ে দেননি। হাত পাতেননি অন্যের কাছেও। নিজের সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রেখে ছবি নির্মাণের বাকি টাকা সংগ্রহ করেছেন। গত ২৫ জানুয়ারি ছবির শ্যুটিং শেষ হওয়া উপলক্ষ্যে তিনি ‘এমার্জেন্সি’-র সমস্ত শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেই পার্টিতে অভিনেত্রী জানান, এই সফরটা মোটেই সহজ ছিল না। ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য তাঁকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়েছে। আর সেজন্য তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়েছে। কঙ্গনার কথায়, ‘আমার যেখানে যতটা সম্পত্তি আছে, সব বন্ধক রেখে দিয়েছি এই ছবির প্রযোজনা করার জন্য।’

তিনি এক সাংবাদিককে এই সম্পত্তি বন্ধক রাখার বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি একবার যে কাজ করার কথা ভেবে নিই, সেটা করেই ছাড়ি। আমার জন্য এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। এক মিনিটের মধ্যে আমি যে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারি। কিন্তু এই ছবির শ্যুটিংয়ের সময় ব্যাংকে যাওয়া, সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন করা খুব চাপের হয়ে গিয়েছিল। আমাদের শ্যুটিং আটকে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছুর জন্য আমি আমার সব কিছু বাজি রাখতে পারি।’

সম্পত্তি বন্ধক রাখার বিষয়টি চাউর হওয়ার পর সাংবাদিকরা তাঁকে ফের প্রশ্ন করেন যে, আপনি এমার্জেন্সি ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য সর্বস্ব বাজি রেখেছেন। কিন্তু এই ছবি যদি ফ্লপ হয়? তখন কী করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে এই শহরে এসেছিলাম। এখন আমি যদি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাই তাহলেও আমি জানি, আমি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমার মধ্যে এতটাই সাহস আছে। আমার কাছে সম্পত্তির কোনও মূল্য নেই।’

Related posts

Leave a Comment