সুমন মল্লিক, সংবাদ কলকাতা: ক্যান্সার নিয়ে সর্তকবার্তা দিলেন আমেরিকার ওহায়ো শহরের ক্লেভল্যান্ড হেমাটোলজি ও মেডিক্যাল অঙ্কোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ জেম আব্রাহাম। তিনি বলেন, ক্যান্সারের মত ক্রনিক ডিজিস সুনামির মত আছড়ে পড়তে চলেছে ভারতে।
তিনি জানান, এর একমাত্র কারণ হতে চলেছে বিশ্বায়ন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও লাইফস্টাইলের বদল। তিনি আরও পরামর্শ দেন, শুধুমাত্র প্রযুক্তি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। তিনি আগামী কয়েক বছরে ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও বায়োপ্সি রিপোর্টের পাশাপাশি জরুরি হয়ে উঠবে জেনেরিক প্রোফাইলিং, ইভল্যুশন অফ জিন এডিটিং টেকনোলজি, ও ইমিউনোথেরাপি প্রভৃতি।
রোগীর সাথে ডাক্তারের দূরত্ব কমিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দেবার পরামর্শ দিয়েছেন ডক্টর আব্রাহাম। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে কম খরচে এই চিকিৎসা পদ্ধতি পৌঁছে দেওয়াই হবে সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
গ্লোবোক্যান-এর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা হবে ২ কোটি ৮৪ লক্ষ দাঁড়াবে। যা ২০২০ সালের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশী হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রসারিত হচ্ছে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার। তবে ক্যান্সারের এই বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে অত্যাধুনিক গবেষণা। চলছে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। পাশাপাশি জেনোম টেস্টিং নিয়ে চলছে বিপুল কাজ। ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল মনিটরিং করে যাতে ক্যান্সারের ঝুঁকি আঁচ করা যায়, তা নিয়ে চলছে গবেষণা।
তাছাড়া তিনি বলেছেন, কেমোথেরাপির পাশাপাশি ইমিউনোথেরাপির উপর জোর দিয়ে ভালো রেজাল্ট মিলছে। এর মাধ্যমে পুরোপুরি নষ্ট হচ্ছে ক্যান্সারের কোষ। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা যত উন্নতই হোক না কেন, মানুষ নিজের জীবনযাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ না করলে এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যে সম্ভব নয়, এটা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দেন ডক্টর জেম আব্রাহাম।
