সংবাদ কলকাতা: ড. পাল ৷ বাংলাদেশের একজন বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক এবং বিকল্প ধারার চিকিৎসক ৷ একদিকে তিনি বাংলাদেশের একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ও অলটারনেটিভ মেডিসিন প্রাকটিশনার ৷ পিএইচডি (অলটারনেটিভ মেডিসিন) গবেষণাকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় একটি ইউনিভার্সিটি থেকে ৷ শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন ইউরোপ এবং আমেরিকার মানুষ ৷ আধুনিক টেকনোলজি আর টুলসের সাথে হোমিওপ্যাথি ও অলটারনেটিভ মেডিসিন-এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি হোমিওপ্যাথি ও অলটারনেটিভ মেডিসিনকে আরও ব্যবহার উপযোগী করেছেন ৷ ড. পাল রোগমুক্তির পথ দেখিয়েছেন অসংখ্য মানুষকে ৷
বহু আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে তাঁর অলটারনেটিভ মেডিসিন সম্পর্কিত গবেষণাধর্মী রিসার্চ পেপার প্রকাশিত হয়েছে। যাতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ৷ বর্তমান সময়ে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ টপিক “এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে বাঁচতে অলটারনেটিভ হোমিওপ্যাথি ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা” পদ্ধতির সাথে একাত্মতা পোষণ করে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছেন ৷ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় তিনি এক নবদিগন্ত উন্মোচন করেছেন ৷
ড. পাল মূলত নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব, ইনফারটিলিটি, সেক্সুয়াল ডেভেলপমেন্ট, আলসার, ক্যান্সার ও জটিল ও কঠিন রোগের অলটারনেটিভ চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন এবং গবেষণা করে থাকেন ৷ পাশাপাশি অন্যসব মানসিক উদ্বেগ, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, হরমোনজনিত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ৷ তিনি ভারত থেকে ক্লিনিক্যাল হোমিওপ্যাথিতে উচ্চতর প্রশক্ষণপ্রাপ্ত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শীর্ষস্থানীয় একজন হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার ৷
ড. পাল বাংলাদেশে ও বিদেশে অসংখ্য সেমিনারে তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ তুলে ধরেছেন। এবং বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে তাঁর জ্ঞানের পরিধির আরও বিস্তার ঘটিয়েছেন ৷ বাংলাদেশের তৃণমূলে সল্প খরচে ও বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দেবার লক্ষ্যে তাঁর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে ৷
হোমিওপ্যাথি ও চিরায়ত চিকিৎসার সাথে টেকনোলজির ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁর পাথ ব্রেকিং অভিনব ধারণা এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে বড় বড় মেডিক্যাল সমস্যায় সফল আউটপুট তাঁকে শিখরে নিয়ে গিয়েছে ৷ তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও এবং বিদেশ উভয়ক্ষেত্রেই প্রশংসা ও খ্যাতি অর্জন করেছেন।
তার একটি সাফল্যের গল্প:
ড. পাল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাথে এবং প্রাকৃতিক মেডিসিনের সমন্বয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকেন ৷ ডিসেম্বর ২০২২ শে ভারতের কলকাতায় আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি সেমিনারে তিনি এক জটিল রোগের নিরাময়ে হোমিওপ্যাথির সফলতার গল্প শুনিয়েছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের এক দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই সন্তান ধারণ করতে চাইছিলেন, কিন্তু কোনওভাবেই তাঁরা সন্তান নিতে পারছিলেন না ৷ এর সাথে মিসক্যারিজের মতো সমস্যাও তাঁদের সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে তোলে ৷ মহিলার শরীরের হরমোনগত পরিবর্তন আসে। আর দীর্ঘদিন অপচিকিৎসা ও কেমিক্যাল রিএকশনে অবস্থা নাগালের বাইরে চলে যায় ৷ রোগীর অভিযোগ ছিল, ব্যাড স্মেলিং ডিসচার্জের সাথে ঘন ঘন প্রস্রাব ৷ সাথে প্রচন্ড অ্যাসিডিটি ও শরীরের মোটাপন ৷ প্যাথলজিকাল টেস্ট রিপোর্টে কিছু হরমোনের প্রভাব বিদ্যমান ছিল ৷
তবে বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের জন্য শুধু ঔষধের উপর নির্ভর করলেই যে সেটি নিরাময় হবেনা তাও বুঝিয়ে বলেছিলেন ড. পাল ৷ ভদ্রমহিলা একজন সরকারী চাকরীজীবি ছিলেন ৷ হোমিওপ্যাথি সমস্যা টেকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ লিপিবদ্ধ করার পর তাঁকে প্রথম মাসে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়৷ ২য় মাস থেকে পিরিয়ড স্বাভাবিক হয়ে যায় ৷ ৪র্থ মাস থেকে তাঁরা সন্তান ধারনের চেষ্টা করতে থাকেন ৷ ৯ মাসের মাথায় ওই ভদ্রমহিলা গর্ভধারণে সক্ষম হন ৷ শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের সাহায্যেই এই রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে ৷ এর কেইস টেকিংয়ে তিনি তার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত সব সফটওয়্যার টুলস ব্যবহার করে নির্ভুল রেপার্টরি করতে সক্ষম হয়েছেন ৷ তিনি জানান, তাঁর নিউলাইফ হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক থেকে এমন অসংখ্য দম্পতি বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন ৷
অলটারনেটিভ বা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গ্রহণ করতে হলে প্রথমে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন ৷ তিনি আপনার যাবতীয় লক্ষণ লিপিবদ্ধ করে সেটি বিশ্লেষণের পরে আপনাকে ঔষধ দিবেন ৷ ড. পাল একজন হোমিওপ্যাথিক গবেষক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি নিউলাইফ হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকের সিইও এবং আন্তর্জাতিক অনলাইন হোমিওপ্যাথি কনসালটেশন প্রদানকারী ৷ তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। তাঁর রয়েছে রোগ নিরাময়ে বহু বছরের সফল ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা। ডঃ পাল-এর চিকিৎসা পেতে হটলাইনে কল বা হোয়াটসএ্যাপ করুন +8801911734726 নম্বরে ৷
previous post
next post