সুভাষ পাল ও সংকল্প দে, সংবাদ কলকাতা: রাজ্যে এই প্রথম এল একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সকালে লিলুয়ার কার শেডে এসে পৌঁছেছে ট্রেনটি। আজ রবিবার চেন্নাই থেকে এসেছে এই ট্রেনটি। আগামী শুক্রবার এই হাই স্পিড ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক সূচনার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া স্টেশন থেকে চালু হবে ট্রেনটি। যাবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত। সম্ভবত ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রেনটির উদ্বোধন করতে পারেন। রেলওয়ে দপ্তরের এক নোটিশ মারফত ডিআরএম কাটিহার ডিভিশন ও রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টকে নতুন ট্রেন চালানোর জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে শুক্রবারে সূচনা হলেও ট্রেনটি সর্বসাধারণের জন্য চালু হবে শনিবার থেকে। ওই দিন থেকে সাধারণ যাত্রীরা এই ট্রেনে উঠতে পারবেন বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটির বাণিজ্যিক দৌড় শুরু হবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে টিকিট বুকিং শুরু হবে। ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি রেল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ভারতে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। ভারতজুড়ে বিভিন্ন রুটে বর্তমানে পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। এই ট্রেনটি বর্তমানে সব রুটেই চলছে ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে। হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গে পৌঁছতে সময় লাগবে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা।
প্রসঙ্গত, গত দু’বছর আগে করোনা আবহে ট্রেন বন্ধ থাকার সময় এই রুটের ডবল লাইনের কাজ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই রুটে হলদিবাড়ি থেকে চালু হয় দার্জিলিং মেল। যা নিয়ে বেশ কিছুদিন বিজেপির পক্ষ থেকে হলদিবাড়ি-দার্জিলিং মেল চালানোর বিরোধিতা করে প্রেস কনফারেন্স করা হয় শিলিগুড়ি থেকে।
কলকাতা-ঢাকা রেল চালু হওয়ার কথা থাকলেও এনজেপি থেকে চালু হয় মিতালী এক্সপ্রেস। সেই সময় রেলওয়ের পরিকল্পনা ছিল হাওড়া থেকে এনজেপি নতুন ট্রেন চালু করার। সেই পরিকল্পনা মতো আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেই মতো রেক প্রস্তুত স্টপেজের ঘোষণা সহ বিভিন্ন প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের।
previous post