শঙ্কর মণ্ডল
আজ ১৬ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবস হিসেবে চিহ্নিত। হ্যাঁ, ১৯৭১ সালের আজকের দিনেই পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতবর্ষ। পরবর্তীকালে পাকিস্তান অন্যায়ভাবে বারবার ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত চুক্তি ভঙ্গ করে কার্গিলে হানা দেয়। অথচ ভারত সমস্ত আইনানুগ চুক্তি বজায় রেখে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে ঐ একইভাবে আর এক প্রতিবেশী দেশ চীন সমস্ত চুক্তি ভঙ্গ করে অরুণাচল প্রদেশ দখল করার জন্য বার বার সেনা অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে চলেছে। ভারত তার শারীরিক ক্ষমতার মাধ্যমে এই অসভ্য চীনাদের জবাব দিতে ভুল করেনি। তবে এই মুহূর্তে সামরিক শক্তি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চীন ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে আছে। ভারতের অর্থনৈতিক সূচক তিন। সেক্ষেত্রে চীনের ১৭। এমনকি আমেরিকার ২১। অর্থাৎ চীন আমেরিকার ঘাড়েও নিঃশ্বাস ফেলছে। তাই ভারতকে কূটনৈতিক জয়ের দিকেই নজর দিতে হবে।
সুতরাং রাহুল গাঁধীর বিবৃতি সম্পূর্ণ শৈশবসুলভ। আর তাছাড়া কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে সরকার চালিয়েছে। তখন ভারতের পরিস্থিতি কী ছিল? বর্তমানে ভারতের অবস্থান সমগ্র পৃথিবীতে যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে ভারতের একটাই সমস্যা, সেটা হল ভারতের অভ্যন্তরে একদল রাজনৈতিক দল ও একদল রাজনৈতিক নেতা আজীবন চীন ও পাকিস্তানের চরবৃত্তি করে যাচ্ছে। এরা মূলত কমিউনিস্টরা, আর বর্তমান তৃণমূল পাকিস্তানী জেহাদীদের শরিক বলেই মনে করি। বিভিন্ন উদাহরণ আছে এর স্বপক্ষে। তাই একটি কথা অত্যন্ত জরুরি। সেটা হল সর্বপ্রথম এই দেশ বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিক মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা।
কিন্তু যে শক্তি এই কাজ করতে পারে এই বাংলায়, সেখানে দ্বায়িত্বে রয়েছে একদল অযোগ্য, বাস্তব জ্ঞানহীন, লোভী ও ভোগী ব্যক্তিরা। আর তাই বাধ্য হয়েই রাজ্যের মানুষ এই দেশ বিরোধী শক্তিকে রেখে দিয়েছে। দেশের স্বার্থে অবিলম্বে এর পরিবর্তনের দায়িত্ব অমিত শাহদের নিতে হবে। সনাতনী ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্ট রাজনীতির থেকে সনাতনী ঐক্য গঠনেই মনোযোগী। তবে অনেক হিন্দু সংগঠন আছে, যারা কেবল কিছু সুবিধা লাভ ও রাজনৈতিক পদ লাভের জন্য ব্যানার সর্বস্ব।
[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধে সমস্ত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত। আমাদের এই কলামে আপনিও আপনার স্বাধীন মতামত তুলে ধরতে পারেন। সেজন্য লেখা পাঠান নিচের ই-মেলে:
sangbadkolkata@gmail.com ]
previous post