সংবাদ কলকাতা: ব়়্যাগিংকান্ড ঘিরে শুরু হয়েছিল অর্ন্ততদন্ত! কলেজ ছাত্রীর ছদ্মবেশে ব়়্যাগিং-এর পর্দাফাঁস করলেন এক মহিলা। কলেজে সকলের সঙ্গেই ছিল ভালো বন্ধুত্ব, ক্যান্টিনেও প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। ছাত্রী হিসাবে ভীষণ ভালো এই পড়ুয়া। পড়াশোনাতেও বেশ মনোযোগী। কিন্ত কে এই মহিলা? কি তাঁর আসল পরিচয়?
জানা গিয়েছে, তিনি একজন পুলিশকর্মী। এই পুলিশকর্মী কলেজ ছাত্রীর ছদ্ম বেশে কলেজের ভিতরের ব়়্যাগিং-এর ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। কলেজের নাম এমজিএম মেডিক্যাল কলেজ।
পুলিশকর্মী শালিনী চৌহানের সেই তদন্ত কোনও অংশে সিনেমার চেয়ে কম নয়। কলেজের ভিতরে পড়ুয়া সেজে ঢুকে শালিনী শুরু করে দেন তাঁর গোপন মিশন। একটি ব়্যাগিংয়ের রহস্যের সমাধান করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। ২৪ বছর বয়সী আন্ডার কভার এই তদন্তকারী অফিসার একটি ‘ব্লাইন্ড’ ব়্যাগিং কেসে ৫ মাস ধরে তথ্য দিয়ে গিয়েছেন পুলিশকে।
ঘটনাটি ঘটেছিল জুলাই মাসে। সেই সময় প্রথম বর্ষের ১১জন পড়ুয়ার ওপর সিনিয়রদের ব়্যাগিং করার অভিযোগ ছিল। সেই কেসের সমাধান করতে তদন্তে নামেন শালিনী। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া সেজে নার্সিংয়ের ছাত্রী হিসাবে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে পড়েন তিনি। কেসের সমাধানে কলেজে ঢুকে পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেন। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত তথ্য পান শালিনী। তিনি সেই সূত্র ধরে জানতে পারেন যে, কোন ফ্ল্যাটে ব়্যাগিংয়ের জন্য জুনিয়ারদের ডেকেছিল অভিযুক্ত সিনিয়রা।
এই ব়়্যাগিং কাণ্ডে ১১ জন পড়ুয়া রয়েছেন। একজন পশ্চিমবঙ্গের ও একজন বিহারের পড়ুয়া রয়েছেন। শালিনীর তদন্তের ভিত্তিতে সংযোগিতাগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।
previous post
next post