শান্তিপুর, ৯ নভেম্বর: ঐতিহাসিক রাস উৎসব দেখতে শান্তিপুরের মাটিতে পা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নদীয়ার কৃষ্ণনগরে একটি জনসভা সেরে শান্তিপুরে আসেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করে বিগ্রহ দর্শন করেন। নিজের হাতেই শ্যামসুন্দর জিওকে আরতি করেন মমতা। পাশাপাশি, ফলের ডালি দিয়ে নত মস্তকে প্রণাম করেন শ্যাম সুন্দর জিউর কাছে।
এরপরেই তিনি বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়ি ছেড়ে শান্তিপুরের আরও এক ঐতিহ্যবাহী গোস্বামী বাড়ি, বড় গোস্বামীর বাড়িতে যান বিগ্রহ দেবতা দর্শন করার জন্য। সেখানেও একইভাবে বিগ্রহ দেবতার কাছে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রবেশ নিয়ে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা শান্তিপুরকে।
অন্যদিকে বুধবার শান্তিপুরের রাস উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন গোটা শান্তিপুরে কড়া নিরাপত্তা থাকার কারণে বহিরাগত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেননি। কারণ শান্তিপুরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নো এন্ট্রি জোন করা হয়। শান্তিপুরের রাস উৎসবে এসে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি এই সময় নদীয়া জেলাকে বেছে নিয়েছি একমাত্র রাস উৎসব দেখার জন্য। আজকে আমি শান্তিপুরের রাস উৎসব দেখতে পেয়ে খুবই গর্বিত বোধ করছি।
তবে নদীয়াতে একদিকে যেমন জনসভা এবং প্রশাসনিক বৈঠক, অন্যদিকে একই সাথে শান্তিপুরের রাস উৎসবে শামিল হওয়া, সবকিছুই কি রাজনীতির প্রেক্ষাপট? নাকি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর? একটা প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
previous post
next post