কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: পুলিশ গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সংযমতা দেখিয়েছে। বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে বুধবার এই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপির নবান্ন অভিযানে বড়বাজারে ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। বিজেপির নবান্ন অভিযানে মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। পাশে লোক নেই। ট্রেনে করে অন্য রাজ্য থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি করা হয়েছে। গুন্ডামি করেছে। আন্দোলনের নামে ব্যাগে করে বোমা-বন্দুক নিয়ে আসা, মাথা ফাটানো ঠিক নয়।” মমতা আরও বলেন, বলেন, “পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিশ সংযত ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। আন্দোলনের নামে বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত নয়। সমাজবিরোধীমূলক রাজনীতি করলে পুলিশ পুলিশের মতো ব্যবস্থা নেবে।”
যদিও রাজ্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের পক্ষে সংযমতার কথা মানতে রাজি নয়। তাঁদের অভিযোগ পুলিশই ইট বৃষ্টি করেছে। এব্যাপারে বুধবার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কয়েকটি ছবিও তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ও জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড করে গেরুয়া বাহিনীর মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। আটক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এই নিয়ে শুরু হয় পাল্টা প্রতিক্রিয়া। লালবাজারের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙে বিজেপি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। আবার খোদ কলকাতায় পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছে। হাওড়া ময়দানেও উত্তেজনা ছড়ায়। শেষমেশ আটক করা হয় সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পলকে। মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
previous post