সংবাদ কলকাতা: ভাঙড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে শনিবার উত্তাল হয়ে উঠল ধর্মতলা। জানা গিয়েছে, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা ঘিরে শনিবার সকালে ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। দিনভর ভাঙচুর ও অবরোধে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যার রেশ এসে পড়ে বিকেলের অফিস ফেরত কলকাতায়। কয়েক হাজার আইএসএফ কর্মী-সমর্থক চৌরঙ্গীতে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। জোরজবরদস্তি অবরোধ তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি সহ দলের ১৯জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
এদিন কলকাতার রানি রাসমণি রোডে আইএসএফ দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পূর্বঘোষিত সভা ছিল। শুক্রবার সেই সভার প্রস্তুতি ঘিরে ভাঙড়ে দু’পক্ষের মধ্যে রাতে ঝামেলা হয়। নতুন করে অশান্তি ছড়াতে শুরু করে শনিবার সকালে। প্রথমে পতাকা লাগানো নিয়ে বিবাদ। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে তা সংঘর্ষের আকার ধারণ করে। উভয় পক্ষেই শুরু হয় লাগাতার ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজি। দু’দিক থেকেই ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়। দলের নেতা নৌশাদ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করে তিনি ধর্মতলার সভার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু, যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও পাথরের টুকরো ছোড়া হয়। এমনটাই অভিযোগ। আহত হন বিধায়ক। যদিও আরাবুল ইসলাম উল্টো সুর ধরেন। তিনি বলেন, ওরাই পা দিয়ে ঝগড়া করেছে। আমাদের ওপর ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে।
previous post