শুরু হয়ে গেল ভারত-পাক অঘোষিত যুদ্ধ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর দ্বিতীয় সংস্করণে ভারতের বিমান হানায় বিধ্বস্ত গোটা পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তানের ১৬টি শহরে হামলা চালিয়েছে ভারতের বায়ুসেনা। ভারতের আইএনএস বিক্রান্ত আরব সাগর থেকে করাচি, লাহোর, শিয়ালকোট, পেশোয়ার, ঘোটকি, ইসলামাবাদ সহ ১৬টি শহরের দিকে তাক করে রাখা হয় করাচি বন্দরের অনতিদূর থেকে। পাকিস্তানের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র করাচি বন্দরের বিস্তীর্ণ অংশ ভারত কার্যত তছনছ করে দিয়েছে। গতকালই ভারতের হামলায় ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের রেডার সিস্টেম। করাচির নৌসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। করাচির বিমান বন্দর ভারতের ২৬টি যুদ্ধ বিমান ঘিরে রেখেছে।
পাশাপাশি, রাজস্থানের যে সব এলাকায় পাকিস্তান ড্রোন হামলা চালিয়েছিল, সেইসব ড্রোনও প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।
এই বিপর্যয়ের মধ্যে পাক সেনা প্রধান অসীম মুনীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন সেনা প্রধান নিয়োগ করা হয়েছে সামশাদ মির্জাকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বাড়ির সামনে একের পর ভয়াবহ মিসাইল হামলা হয়েছে। এরপরই পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। খুব সম্ভবত তিনি সৌদিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লাহোর বিমান বন্দর থেকে একটি বাণিজ্যিক বিমানে করে সৌদি আরবে গিয়েছেন শাহবাজ শরীফ। এমনটাই সূত্রের খবর। খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর হাতে পাকিস্তানের ক্ষমতা চলে যাচ্ছে।
এদিকে বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা পাকিস্তান সেনার সঙ্গে সম্মুখ সমরে। তারা বালুচিস্তানের এক তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সামগ্রিক পরিস্থিতির জেরে পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। আবার বাহিনীর আরও একটি অংশ জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডে আশ্রয় নিয়েছে। আর যুদ্ধে না পেরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একটি অংশ জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাডে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে কোনও নাশকতার পরিকল্পনা চালাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতের সীমান্তকে অশান্ত করে তোলাও তাদের লক্ষ্য। যুদ্ধে না পেরে ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছে পাক সেনা বাহিনী ও আইএসআই। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এই যুদ্ধ উপলক্ষে পাকিস্তানকে দেওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘শুভ দীপাবলি পাকিস্তান!’
অন্যদিকে করাচি বন্দরে পৌঁছল তুরস্কের কার্গো শিপ, সম্ভবত প্রচুর অস্ত্র মজুদ আছে সেই জাহাজে। তবে ভারতের সঙ্গে ইসরাইল আমেরিকা রাশিয়া থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর দেশগুলো রয়েছে। অত্যাধুনিক সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে ভারতের কাছে এবং সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ইসরাইল এবং রাশিয়া।
গোটা পাকিস্তান জুড়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীর তাণ্ডৱ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে নেপালও। এতদিন ধরে এই দেশটি পাকিস্তানের একটি শক্ত জঙ্গি ঘাঁটির প্রশ্রয় দিয়ে আসছিল। তারা এখন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পাকিস্তানকে নেপালের জমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
১৬টি বিমান হানা ভারতের, বিধ্বস্ত পাকিস্তান
