সুভাষ পাল, ৩ ডিসেম্বর: কংগ্রেসের আশায় জল ঢেলে দিল জনতা। তিন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হল গেরুয়া শিবির। একমাত্র তেলেঙ্গানাতে বিআরএস-কে ২৪ আসনের ব্যবধানে হারিয়ে জয় হল কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধীর দেশজুড়ে “ভারত জোড়ো” পদযাত্রার নিট ফল জিরো। এরাজ্যের মানুষ কংগ্রেসকে “খ্যাংগ্রেস” বলে বিদ্রূপ করতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি, কংগ্রেসপন্থী সংবাদ মাধ্যমগুলি ঢাকঢোল পিটিয়ে গান্ধীপন্থীদের প্রচার করলেও তিন রাজ্যের মানুষ সেই প্ররোচনায় পা দিল না। বরং সেই প্রচারের ফল হল উল্টো। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজেপিকে ভোট দিয়ে গান্ধী পরিবারের ভরাডুবি করে ছাড়ল। বুঝিয়ে দিল, দেশের মানুষ পরিবারতন্ত্রের পক্ষে নেই।
কংগ্রেসের দালালপন্থী সংবাদপত্রগুলি আজ সকালে প্রভাতী সংবাদেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গেল গেল রব তুলেছিল। কিন্তু আজ দিনের শেষে চার রাজ্যের ভোট গণনার শেষে দেখা গেল, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি যেখানে পেয়েছে ১৬০টি আসন, সেখানে কংগ্রেসের জয়রথ মাত্র ৬০ আসনে এসে থমকে গিয়েছে। রাজস্থানে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৭০টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ১১৪টি আসন। অর্থাৎ ৪৪ আসনের ব্যবধান বাড়িয়ে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর শিরে সংক্রান্তি শুরু হয়েছে।
এদিকে ছত্তিশগড়ে ৯০টি আসনের মধ্যে ৫৪টি বিজেপির পকেটে। মাত্র ৩৩ আসনে থেমে গেছে কংগ্রেসের হম্বিতম্বি। ব্যতিক্রম শুধু তেলেঙ্গানা। যেখানে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিআরএস। এখানে বিআরএস ৪০টি আর বিজেপি ৮টি আসন পেলেও কংগ্রেস ৬৪ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে। তবে তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে রাহুল গান্ধীর “ভারত জোড়ো” পদযাত্রার গুরুত্ব প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। পাশাপাশি কংগ্রেসের দালালি করা মিডিয়াগুলির ওড়ানো ফানুস চুপসে গেল।
previous post
next post