কলকাতা, ১৩ এপ্রিল: অবশেষে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধরা পড়ল দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। কাঁথির একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই-তিন দিন আগে এখানে আসে তারা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব। গত ১ মার্চ বিস্ফোরণের পর তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অবশেষে বাংলাতে আততায়ীদের পাকড়াও করল পুলিশ। রয়েছে কলকাতা যোগও। এনআইএ এর আগেই এই দুই জনের মাথার দাম ধার্য করে ১০ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা গত ১৩ মার্চ কলকাতায় আসে। সেখানে একদিন থাকার পর বেরিয়ে যায়। এরপর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। দার্জিলিংয়ে গিয়েও আস্তানা গাড়ে এই জঙ্গিরা। তারা ভুয়ো পরিচিতি বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে শুরু করে। বানিয়ে ফেলে ভুয়ো আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। সূত্রের খবর, বিঘ্নেশ ওরফে সুমিত নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল আবদুল। আর মুসাভির ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিল মহম্মদ জুনের শাজিব নামে। এইভাবে এই ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে নাম ভাঁড়িয়ে গত ২৮ দিন ধরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আশ্রয় নেয়। কয়েকদিন অন্তর অন্তর তাদের ডেরা পাল্টাতে শুরু করে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সংক্রান্ত তথ্য আসার ২ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ। ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এদিকে এই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল। রা্ষ্ট্রবিরোধী একটি রাজ্য সরকার এখানে ক্ষমতায় রয়েছে।’ শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’বেঙ্গালুরুতে যাঁরা বোমা ফেলেছিল, তারা কর্ণাটকের বাসিন্দা। বাংলায় লুকিয়েছিল। ২ ঘণ্টায় ধরে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকে। বিজেপি-র তা সহ্য হয় না।’
next post