33 C
Kolkata
August 2, 2025
দেশ

হিন্দু সেনার আপত্তি উড়িয়ে আজমের দরগায় চাদর পাঠালেন মোদী

file pic

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজমের শরিফের খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় ‘চাদর’ চড়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই চাদর প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি জামাল সিদ্দিকির হাতে তুলে দিলেন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি হয়ে তাঁরা আজমির শরিফ দরগায় গিয়ে মইনুদ্দিন চিস্তির ৮১৩-তম উরস অনুষ্ঠানে পবিত্র সমাধিক্ষেত্রে সেই চাদর চড়িয়ে দেবেন। 

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেলযাত্রা ও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পটভূমিতে হতে চলেছে বিধানসভা ভোট। তাই তার আগে হিন্দু সেনার আর্জি মেনে চাদর না চড়ালে তা ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে মুসলিম মহল্লায়। বিশেষত এবারের ভোটে আপ-বিজেপির প্রায় ৫০-৫০ সম্ভাবনা আছে সরকার গঠনের। সে কারণে মুসলিমদের জন্য সৌহার্দ্যের বার্তা দিতেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এলেন না।

উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আজমের শরিফ দরগায় প্রতিবছর চাদর চড়িয়ে আসছেন। এ বছর নিয়ে মোট ১১ বার চাদর চড়াতে চলেছেন মোদী। গতবছরের উরসে প্রধানমন্ত্রীর হয়ে চাদর চড়িয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও জামাল সিদ্দিকি। এবছর প্রধানমন্ত্রীর এই চাদর চড়ানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হিন্দুপক্ষ এই দরগায় অতীতে শিবমন্দির ছিল বলে দাবি জানিয়েছে।

শুধু তাই নয়, এই বিতর্ক নিয়ে এখন আদালতেও শুনানি চলছে। তার উপর অন্যতম মামলাকারী হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে বার্ষিক উরস উৎসবে চাদর না চড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মোদীকে। হিন্দু সেনার দাবি, বিষয়টি এখন বিচারাধীন। তাই প্রধানমন্ত্রীর তরফে এই মুহূর্তে চাদর চড়ানোর কর্মসূচি যেন স্থগিত রাখা হয়।  কিন্তু, সেই আর্জিতে কোনও কর্ণপাত না করেই মোদী প্রতি বছরের মতো এবারেও চিস্তির দরগায় চাদর পাঠালেন। তবে এই চাদর পাঠানোর পিছনে বিশেষ রাজনৈতিক সঙ্কেত আছে বলে মনে করছেন অনেকেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছুদিনের মধ্যেই দিল্লি বিধানসভার ভোট হবে।

Related posts

Leave a Comment