সুভাষ পাল, স্বরূপনগর: আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাকিমপুর সীমান্তে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন বনগাঁ লোকসভার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মূলত হাকিমপুর সীমান্তের সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই অকস্মাৎ হাকিমপুর বিএসএফ ক্যাম্পে হাজির হন তিনি। বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন সীমান্তের স্থানীয় বিজেপি নেতা, কর্মী ও স্থানীয় মানুষজন।
স্থানীয় মানুষদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ জওয়ানরা দীর্ঘদিন ধরে হাকিমপুর মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকায় আগের মতো জিরো পয়েন্টে চৌকি দিচ্ছে না। ফলে যাঁরা চোরাচালান ও অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের ধরতে পারছে না। সেই সঙ্গে সীমান্তের বাড়িগুলি থেকে রাতের অন্ধকারে গরু সহ গৃহপালিত গবাদি পশু চুরি করে বাংলাদেশে পার করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পরিবর্তে হাকিমপুর বাসস্ট্যান্ডের মহড়া পথে চেক পোস্ট বসিয়ে চেকিং করা হচ্ছে। এতে চোরাকারবারিদের থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানি বেশি হচ্ছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যবসায়ীদেরকেও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি, কড়া চেকিংয়ের সময় সাধারণ নিরীহ মানুষ বারবার তাঁদের দৈনন্দিন কাজে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। বারবার তাঁদের চেকিংয়ের নামে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়, হাকিমপুর বাস স্ট্যান্ডে চেকিংয়ের পরিবর্তে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে এবং সোনাই নদীর ধারে সীমান্ত চৌকি বসাতে হবে। তাতে চোরাচালানও কমবে এবং চোরাচালানকারীদের চিহ্নিত করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি, সাধারণ নিরপরাধ মানুষ, যাঁরা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের হয়রানি বন্ধ হবে। ফলে স্থানীয় মানুষের দাবি মতো হাকিমপুর বাস স্ট্যান্ডের চেকিং তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সেটা ধাপে ধাপে করা হবে বলে বিএসএফ আধিকারিকদের তরফে দাবি করা হয়েছে।