সংবাদ কলকাতা: মুড়ির ব্যবসার আড়ালে চন্দন কাঠ পাচারের কারবার। আচমকা হানা দিতে গিয়ে পাচারকারীদের ঢাল হয়ে দাঁড়াল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার পাঁচলা থানায়। ঘটনায় শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের আটকে রেখে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পরে শুল্ক দপ্তরের কমিশনারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হয়। তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪৭২ কিলো লাল চন্দন কাঠ। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
তদন্তে জানা যায়, এই চন্দন কাঠগুলি ওড়িশা থেকে আনা হয়। সেগুলি নেপাল হয়ে চিনে পাচারের পরিকল্পনা করে। এরজন্য গোডাউন মালিককে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছিল পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় শুল্ক দপ্তর। তাঁরা দুই জনকে আটক করেছে। মূল পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাতে পাঁচলার শেখপাড়া গ্রামে একটি মুড়ির কারখানার গোডাউনে তল্লাশি অভিযানে নামে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। নেতৃত্বে ছিলেন শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দা আধিকারিক এআর রাও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দেয়। এমনকি তাঁদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও তাঁদেরকে আটকে রাখা হয়।
পুলিশের দাবি, আগে থেকে বিষয়টি থানাকে জানানো হয়নি। এদিকে শুল্ক দপ্তর জানায়, আগে থেকেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করছে। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কিছু বাসিন্দার অভিযোগ, দুর্নীতি রোধে পুলিশ কেন বাধা দিচ্ছে? পুলিশের নাকের ডগায় এতদিন ধরে মূল্যবান চন্দন কাঠ পাচার চক্র চললেও পুলিশ কি জানত না? নাকি জেনেও না জানার ভান করে ছিল?
previous post