সংবাদ কলকাতা: স্বরূপনগরে নৃশংস হত্যা! অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে বলেন, “এই হল পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে একটি বাগান থেকে রক্তে ভেসে যাওয়া, হাত-পা বাঁধা, গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই মহিলার মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যাতে দেহটি সনাক্ত করা না যায়। “
“কিন্তু এই ঘটনার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না। নারী পাচারে জড়িত TMC দ্বারা পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত অপরাধীরা এর পিছনে থাকলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কিন্তু তারপরে এর অর্থ হবে মর্মান্তিক মৃত্যুর নীরব দাহন। রাহুল গান্ধী, যিনি কুমিরের কান্না করেন, তিনি কি এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সুরক্ষায় ব্যর্থতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিরস্কার করবেন? নাকি “I.N.D.I জোট”-এর বাধ্যবাধকতার কারণে একই পথে হাঁটবেন! “
তবে এই বিষয়ে ‘সংবাদ কলকাতা’র এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা কেন্দ্র সরকার ও বিএসএফ-এর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন স্বরূপনগর বিধানসভার বিধায়িকা বীণা মণ্ডল। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল একেবারে সীমান্তবর্তী এলাকা। প্রায় জিরো পয়েন্টের কাছে। আর সীমান্ত দিয়ে কারা কি পারাপার হচ্ছে, কি না হচ্ছে, তার নজরদারি করার জন্য কেন্দ্রের ফোর্স বিএসএফ দেখভাল করে। তাহলে তাঁদের নজর এড়িয়ে কীভাবে এটা হল, সেটা তো আমাদেরই প্রশ্ন। এই জবাবটা তাঁরা আগে বিএসএফ-এর কাছ থেকে নিক। এখানে তো রাজ্যের ঘাঁড়ে দোষ চাপালে হবে না। পুরো জিরো পয়েন্টে ঘটনাটা ঘটেছে। আমরা চায় ওরা সঠিকভাবে তদন্ত করুক। তদন্তে নিশ্চয় বিষয়টা উঠে আসবে।”
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.son.songbadkolkata
প্রসঙ্গত গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্বরূপনগরের গুণরাজপুরে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গোবিন্দপুর সীমান্তের গুণরাজপুর গ্রামে ওই কিশোরীর হাত-পা বাঁধা ও গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিছানো কলার পাতার ওপর মৃতদেহটি রাখা ছিল। কিন্তু দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা মুন্ডটি পুড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। যাতে তাঁকে কেউ সনাক্ত করতে না পারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা স্বরূপনগরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। তাঁরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্তে এসেছেন ফরেনসিক টিম। তাঁর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় বাংলাদেশের নাম ঠিকানা।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তের একশ্রেণীর মানুষ পাল্টা আঙ্গুল তুলেছেন বিএসএফ-এর দিকে। তাঁদের বিশ্লেষণ, যেভাবে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে, তা বিএসএফ-এর পক্ষে করাটা অসম্ভব নয়। কারণ, যেভাবে হাত-পা বেঁধে খুন করা হয়েছে, তার মধ্যে যথেষ্ট পেশাদারিত্বের ছাপ রয়েছে।