সংবাদ কলকাতা, ১৫ আগস্ট: আজ স্বাধীনতা দিবসের দিনে স্বরূপনগরের একটি ক্লাবকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার বিথারি হাকিমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বৈষ্ণবতলা এলাকায় ওই ক্লাবটি রীতিমত গুণ্ডামি শুরু করেছে। তাও আবার রানী রাসমণির জামাই মথুরমোহনের পাড়াতেই ঘটেছে এই ঘটনা। বৈষ্ণবতলার মত জনবহুল এলাকার প্রকাশ্য রাস্তায় একটি ঝকঝকে সাইন বোর্ড টাঙানো হয়েছে। ‘তুফান সংঘ’ নামে ওই ক্লাবের সাইন বোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘বিথারি বৈষ্ণবতলা এলাকাধীন যে কোনো জমি ক্রয় অথবা বিক্রয় করিতে হইলে বৈষ্ণবতলা তুফান সংঘের সহিত আলোচনা করিতে হইবে। বিথারী বৈষ্ণবতলা তুফান সংঘ।’
স্বাধীনতা দিবসের দিনে অকস্মাৎ এই সাইন বোর্ড দেখে এলাকার মানুষ রীতিমত চমকে গিয়েছেন। তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, দেশের আইনকানুন রাতারাতি কি সব পাল্টে গেল? নাকি শহরের মতো এলাকার ক্লাবের মাস্তানিরাজ শুরু হয়ে গেছে! গ্রামবাসীরা প্রশ্ন করছেন আমার জমি আমি কাকে বিক্রি করব, কি না করব তার জন্য পাড়ার ক্লাবকে কেন কৈফিয়ত দেব? ওরা কেন খবরদারি করবে? কার মদতে ওরা এই সাহস পেল! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিশ্চয় এর মধ্যে বড় কোনো রাজনৈতিক মাথা যুক্ত আছে। কারণ শাসক দলের ছত্রছায়া ছাড়া এলাকায় এই হুইপ জারি করার সাহস কারো হবে না। সূত্রের খবর, স্বরূপনগর থানা এই বিষয়গুলো জেনেও না জানার ভান করে আছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বরূপনগরের পুলিশের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া এলাকায় এই ধরনের ক্রিমিনাল সক্রিয়তা সম্ভব নয়। এই নিয়ে বড় কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে সরাসরি থানার বড় বাবুকেই কাঠগড়ায় উঠতে হবে। তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ রীতিমত ফুঁসছে। এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন করা হলে, তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
এব্যাপারে স্বরূপনগর থানার ওসি প্রতাপ মোদক বলেন, এবিষয় সম্পর্কে আমরা কিছু জানিই না। আমাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগও করেনি।
next post