28 C
Kolkata
August 3, 2025
রাজ্য

সূর্যদেব পরিশ্রান্ত হলেই শিক্ষাঙ্গন বদলে যায় শুড়িখানায়

বিশেষ সংবাদদাতা, কুলতলি : নামেই খুদেদের শিক্ষাঙ্গন। ওটুকু খাতায় কলমে আর কঙ্কালসার চেহারায়। আসলে সূর্যদেব পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লেই এই শিক্ষাঙ্গনই বদলে যায় শুড়িখানায়। নিয়মিত বসে মদের আসর। সাথে থাকে গাঁজার সুখ টানও। এমনই দুরবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের ১১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। ঘরের ছাদ নেই বললেই চলে। দরজা জানালা কবেই খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে রান্নার উনুনও। স্কুল ঘরের মেঝেই পড়ে থাকে মাদকাসক্তদের ব্যবহারের অবশিষ্ট জিনিসপত্র। অতিরিক্ত সুরা পানের পর আবার অনেকেই পড়ুয়াদের বসার জায়গা ওলোট পালট করে রেখে যায়। এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর এই অবস্থাতেই চলছে স্কুল। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বসা যায় না। শীতকালেও ঠান্ডায় ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়া দরজা জানালা না থাকায় যখন তখন ঢুকে পড়ছে কুকুর, গরু, ছাগল সহ অন্যান্য প্রাণীও। এই দুরবস্থার মধ্যেই বিগত কয়েকবছর ধরে চলছে এই স্কুল। বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সমস্যার মধ্যে রয়েছেন গর্ভবতী মায়েরাও। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় এখান থেকেই। অব্যবস্থার কারণে পড়ুয়ারাও পড়তে আসতে চাইছে না। দিদিমনি আছেন বটে, তবে তিনি নাকি নিয়মিত পড়াতে আসেন না। এমনই অভিযোগ অনাচে-কানাচে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান, পর্যাপ্ত কর্মী নেই। স্কুল ঘর ভাঙা। এই অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে সঠিক পরিবেশ ফেরানো হোক। উন্নতি করা হোক পরিকাঠামোর।
যদিও প্রত্যাশিতভাবেই বিষয়টি কিছুই জানেন না বলে জানান গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনতা হালদার। দায়সারা ভাবেই তিনি পুরোটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখার, বিষয়টা প্রশাসনিক স্তর থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Related posts

Leave a Comment