পাথরপ্রতিমা, ২১ সেপ্টেম্বর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে থাকা ম্যানগ্রোভ ও প্রচুর নদী-খাঁড়ির সমন্বয়ে নদীমাতৃক সুন্দরবনে মূলত বাঘ, কুমিরের সাথে একপ্রকার বাস করেন মানুষজন। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন বিষধর সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব। এই চিরাচরিত ভয়ানক প্রাণী ছাড়া এতদিন নোনা জল ও সোঁদা মাটির বাদাবনের মানুষ তেমন কোনো ভয়ঙ্কর প্রাণী সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেননা। হঠাৎ করে সেই সুন্দরবনেই দেখা মিলল পাহাড়ি এলাকার একটি ১৩ ফুটের বেশি লম্বা পাইথন বা ময়াল সাপের। আর এতেই একদিকে যেমন এলাকার মানুষজনের মধ্যে কৌতুহল ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি তীব্র আতঙ্ক ও গ্রাস করেছে তাঁদের। কিভাবে কোথায থেকে এই নদী ঘেরা প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকায় এই পাহাড়ি সাপ এল তা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার অধিবাসীদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্র নগর এর বাসিন্দা শঙ্কর সামন্ত তাঁর ফিসারিতে জাল পেতেছিলেন মঙ্গলবার বিকালে। সন্ধ্যার পর জাল তুলতে গিয়ে হঠাৎ লক্ষ্য করেন একটি বিরাট লম্বা সাপ জালে জড়িয়ে আছে। রীতিমত ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। সেই আওয়াজে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা সাপটিকে দেখে তাজ্জব বনে যান। ওই এলাকায় পাইথনের দেখা মেলায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় রাতে প্রচুর মানুষ জড়ো হন সাপটিকে দেখার জন্য। কৌতূহল এর পাশাপাশি তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পাহাড়ী এলাকার এত বড় সাপ এই বাদাবনে কোথা থেকে এল তা নিয়ে বিস্ময় দেখা দেয় সবার মনে। রাতেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বনবিভাগের অফিসে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই গ্রামে ছুটে আসেন বনবিভাগের কর্মী ও আধিকারিকরা। এরপর সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। কিভাবে কোথা থেকে এই এলাকায় পাইথন এল সে বিষয়ে যদিও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি বনবিভাগের কর্তারা।