ঘটনায় এক মহিলা সহ গ্রেপ্তার মোট তিনজন ৷ চুরি যাওয়া মোবাইল হাতফেরি হয়ে বাংলাদেশে চলে যেত বলে জানা গিয়েছে ৷ বাংলাদেশে এইসব মোবাইল আরও বেশী দামে বিক্রি করা হত ৷ যারা এই চোরাচালান কারবারের সাথে যুক্ত ছিল হুন্ডির মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত ৷ এই ঘটনার তদন্ত নেমে সোনারপুরের খুড়িগাছি এলাকা থেকে কনিকা জানা, জলঙ্গী এলাকা থেকে শশধর দাস ও মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে নাইমুর রহমান নামে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
সোনারপুরের রাজপুর এলাকা থেকে ৫ই মার্চ ভোররাতে একটি মোবাইল দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে ৷ এই দোকান থেকে নামীদামি কোম্পানীর ৮টিরও বেশী মোবাইল চুরি হয়ে যায় ৷ ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে ঘটনার তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷ দোকানের মধ্যে দুজনকে চুরি করতে দেখা যায় ৷ চুরি যাওয়া মোবাইলের কয়েকটি ব্যবহার শুরু হওয়ায় তার IMEI নাম্বার ট্র্যাক করে জলঙ্গী এলাকা থেকে শশধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করা হয় ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জলঙ্গী থেকে নাইমুর রহমান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেও এই চোরাচালান কারবারের সাথে যুক্ত ছিল ৷ এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সোনারপুরের খুড়িগাছি এলাকায় কনিকা জানার বাড়িতে তল্লাশি চালালে সেখান থেকেও বেশ কিছু মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ ৷ পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল চুরি করার পর তা কনিকার বাড়িতে স্টোর করা হত ৷ তারপর সময় সুযোগ মত মোবাইলগুলি পাচার করা হত মালদা ও মুর্শিদাবাদ এলাকায় ৷ সেখান থেকে পাচার করা হত বাংলাদেশে ৷ এই চক্রের সাথে আরও অনেকেই যুক্ত আছে বলে মনে করছে পুলিশ ৷ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ৷