কলকাতা ও ঢাকা: সোমবার রাত ন’টা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে সিত্রাং। যদিও আবহাওয়া দপ্তরের প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার কথা ছিল। কিন্তু, আগের দিন এই ঝড় অত্যধিক শক্তিশালী হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশের সন্দীপ দ্বীপ সহ একাধিক জায়গায় আঘাত হানে। সন্দীপ ছাড়াও ঝড়ের প্রভাব পড়ে বরিশাল, ভোলা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম সহ একাধিক জেলায়। এইসব এলাকায় তাণ্ডবলীলা শুরু করে সিত্রাং। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেদেশের ১৬টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজধানী ঢাকাতেও এই ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। সেখানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, শরিয়তপুর, ঝালকাঠি, নোয়াখালি ও নড়াইল জেলায়। এইসব জেলায় মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উপকূল এলাকায় প্রচুর ঘরবাড়ি ও মাছের ভেড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশে মাছ চাষ একটি বড় অর্থকরী ফসল, সেজন্য এই ঝড়ের প্রভাবে প্রচুর মানুষের অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, চাষবাসেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দেশে প্রায় ১১ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছয় হাজার একশো হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
মৃত ৩৫ জনের মধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। কুমিল্লায় একটি পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। টাঙ্গাইলে একটি পুলিশ ভ্যানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন আসামি ও দুই জন পুলিশ কর্মী। এছাড়া গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় দুই জন করে মোট দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।
previous post
next post