নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: শনিবার জলপাইগুড়িতে শুরু হল সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের ১৯তম জলপাইগুড়ি জেলা সম্মেলন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ঘুঘুডাঙ্গা স্কুলে সংগঠিত হচ্ছে এই সন্মেলন।
সম্মেলনকে সামনে রেখে দুপুরে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশ্য সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সারদাপ্রসাদ দাস। বক্তব্য রাখেন পার্শ্ববর্তী কোচবিহার জেলার রাজ্য কমিটির সদস্য ইন্দ্রজিৎ সিনহা, রাজ্য কমিটির সদস্য অনিরুদ্ধ বসু। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অক্ষয় ঠাকুর, রাজ্য কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ, সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতি, আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে নবান্ন পর্যন্ত বাংলার গরিব মানুষের হকের পাওনা লুঠের যে ইতিবৃত্ত তৈরি করেছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে, তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন বক্তারা। নেতৃত্ববৃন্দ বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভেদের বিষবাষ্প মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ভোট নিয়েছিল।
অথচ এখন সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে আধা সেনার বাড়াবাড়িতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রের সরকারের। রাজ্য নেতৃত্ব ইন্দ্রজিৎ সিনহা তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে পরেশ অধিকারী, উদয়ন গুহ সহ বেশ কিছু প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা চুরিতে হাত পাকিয়েছে। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি করে দিয়েছে। অথচ জলপাইগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায়কে মিথ্যা মামলায় এই সরকার জেল খাটানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রমাণ হয়েছে, মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সভাপতি। জেল খেটেছেন তবু চোরের দলের সাথে আপোষ করেননি। জানা গেছে, শনিবার রাত পর্যন্ত চলে এই সম্মেলন।
previous post