সংবাদ কলকাতা, ১১ নভেম্বর: চারিদিকে সাদা বরফে ঢাকা। তার মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্নো লেপার্ড। সম্প্রতি নেপালে এরকম বিরল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন কয়েকজন ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফার। ১৬৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে অতি সাবধানে তাঁরা বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছেন স্নো লেপার্ড-এর। মার্কিন ফটোগ্রাফার কিত্তিয়া পাওলোস্কির কিছু শট প্রশংসা অর্জন করেছে। কারণ, এটি কিছু অত্যাশ্চর্য পটভূমিতে অধরা এই প্রাণীটিকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে।
পাওলোস্কি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রাণীটির ৫টি ছবি পোস্ট করেছেন। প্রথম পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, সাদা চিতাবাঘটিকে ট্র্যাক করার জন্য তাঁকে ১০৩ মাইল (১৬৫ কিমি) পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছিল। তাঁর ক্যামেরা বন্দি করা ছবিগুলি নেট দুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুষার চিতা সাধারণত আত্মগোপণ করে থাকতে ভালোবাসে। এরা সচরাচর মানুষের সামনে আসতে পছন্দ করে না। এই দীর্ঘকায় প্রাণীটিকে সনাক্ত করা সত্যিই খুবই কঠিন। সচরাচর তাদের চোখে দেখা যায় না। সেজন্য, তাদের ‘পাহাড়ের ভূত’ বলা হয়।
যদিও এগুলি তিব্বতের মালভূমি এবং ভারত, নেপাল ও ভুটানে হিমালয়ের অতি উচ্চতায় বিচরণ করে। সাম্প্রতিক অতীতে শুধুমাত্র কয়েকজন ট্রেকার এবং বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার দূর থেকে প্রাণীটির শট নিতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ মহল থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান বিশ্বে বিরল এই প্রাণী। গোটা বিশ্বে এর সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারের কাছাকাছি। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০৪০ সালের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে এই স্নো লেপার্ড।
previous post