সংবাদ কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর: আমি দুটো চিঠি পাঠিয়েছি। দুটোই যথেষ্ট গোপনীয়। গোপন যখন, তখন গোপনীয়ই থাকবে। একটি চিঠি একজন পাঠায়, আর একজন সেটা রিসিভ করে। আমি চিঠি পাঠিয়েছি এটা বলতে পারি। যিনি পেয়েছেন, তাঁকে বলতে হবে চিঠি পাওয়ার পরে কি রিঅ্যাকশন।
ব্রাত্য বসুর মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, আমার জুনিয়ার এপয়েন্টি কি বলেছেন, তা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। পাশাপাশি, চিঠি সম্পর্কে রাজ্যপাল আরও বলেন, রাজ্যকে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য এটা সঠিক সময় নয়। কারণ আমার শ্রদ্ধেয় সাংবিধানিক কলিগ মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে যাচ্ছেন। অযথা তাঁকে টেনশন দিয়ে ব্যাগেজ বাড়াতে চাইছি না। উনি ফিরে আসলে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
এই রাজ্যে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে বললেন, আমি এখানে খুশিতে রয়েছি। কাজ করে খুশি। মুখ্য সচিবের সঙ্গে সাধারণ বৈঠক হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের ফাইল আমি সঠিকভাবে ছেড়ে দিয়েছি। সকলে নয়, কিছু আইপিএস, আইএএস অফিসাররা ঠিকমতো কাজ করছেন না। ম্যাকবেথ-এ বলা হয়েছে, when the harly barly is done, and the battle is lost and won, new vice chancellors will come. প্রক্রিয়া চলছে। এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। সার্চ কমিটি তৈরি হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ইউজিসি নিয়ম অনুসারে গঠিত হবে। তারপরেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সম্ভব। ততদিন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা কাজ করবেন। এই উপাচার্যদের বিষয়ে যোগ্যতার ব্যাপারে বলা হয়নি। যে কোনও যোগ্য ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে কাজ করতে পারেন। এটাই নিয়ম। এভাবেই কাজ করা হয়।
গতকাল কোনও চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে? উত্তরে বলেন, চিঠি তো নিয়মিত যেতেই থাকে। বিল আটকানোর বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, এটা সত্যি। আটটা ফাইল রাজভবনে পেন্ডিং রয়েছে। সাতটার ক্ষেত্রে আমি কিছু ক্লারিফিকেশন চেয়েছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে। সরকারের তরফে আটকে রয়েছে। আমার তরফে নয়। একটি বিল রয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন অনুসারেই করতে হবে।
next post