শঙ্কর মণ্ডল
ভাইরাসের জনক চীনে তিন লক্ষাধিক আক্রান্ত নতুনরূপে আগত করোনায়। যা আবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের ভারতে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া। ঠিক যেমন তাঁদের ওখানকার শাসক ভাইরাস কমিউনিস্ট পার্টিকে বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের রাজ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছে। আর আমাদের রাজ্যে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এক ভাইরাস তৃণমূলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে খুব দ্রুত তা হয়ে যাবে। আদালতে বারবার ভর্ৎসনার সম্মুখীন হওয়া রাজ্য সরকারের দৈনন্দিন কাজে পরিণত হয়েছে। সর্বস্তরের নিয়োগেই যে দুর্নীতি হয়েছে, তা আবারও প্রমাণিত হল দমকল বিভাগের নিয়োগে।
অন্যদিকে, অনুব্রত চ্যাপ্টার আরও অভিনবত্ব দেখাচ্ছে। লালন শেখের মৃত্যু রহস্য আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, ওর স্ত্রী রেশমা বিবির এফআইআর নিয়ে। সেটা কার লেখা? তা গভীর রহস্যের। সার্বিক দুর্নীতি আমাদের রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। এটা আজ নতুন নয়। বাম আমলেও লাগামহীন দুর্নীতি ছিল, আজ যতই গলাবাজি করুক না কেন, ওই ভাইরাস কমিউনিস্টরা। হ্যাঁ, তখন ওরা যা করত, তার কোনও প্রমাণ রাখত না। আর আজ ঝুড়ি ঝুড়ি প্রমাণ রেখে এরা দুর্নীতি করেছে। এটাই এদের মধ্যে পার্থক্য। আর রিগিং সেদিনও ছিল আজও আছে। আর সেদিন সব নির্বাচনে যেভাবে সিপিএম জয়ী হত, ঠিক সেইভাবে আজ তৃণমূল সব নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। তা স্কুল কমিটির নির্বাচন হোক বা সমবায় বা পঞ্চায়েত, পৌরসভা, বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচন হোক, সবক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য।
ঠিক সেই সময়ে কেন্দ্রের সরকার গরীব মানুষদের বিনা পয়সায় চাল, গম দেওয়ার সমস্যসীমা আরও এক বছর বৃদ্ধি করল। পেনশন নিয়ে নতুন ঘোষণা যথেষ্ট ভাল পদক্ষেপ। দ্রুতগতির ট্রেন চালু থেকে শুরু করে, গঙ্গা দূষণ রোধ নিয়ে পদক্ষেপ ও জোকা তারাতলা মেট্রো চালু এবং এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় আগমন যথেষ্ট প্রশংসনীয়। তবে এসবের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দল দিলীপ, সুকান্তর ন্যায় শুভেন্দুও আলটপকা কথা বলার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। ১২, ১৪, ২১-এই তারিখের ঘোষণা সম্পূর্ণ নাবালক সুলভ।
যাইহোক, বর্তমানে এই নতুনরূপে আগত ভাইরাস থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মাক্স পরার অভ্যাস নতুন করে চালু করতে হবে। এবং হালাল অর্থনীতির মোকাবিলা করতে বাঙালীদের ব্যবসায়ী হতে হবে।
[বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধের মতামত লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত।]
previous post
next post
