23 C
Kolkata
December 23, 2024
রাজ্য

সরদার তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত রাজীব কুমারকে সরাতেই কমিশনের উপর তৃণমূলের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে

সংবাদ কলকাতা : লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে শাসকদল তৃণমূলকে ভোটে হিংসা ও কারচুপি করার বিন্দুমাত্র সুযোগ দিতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। গত ২০১৮ এর পঞ্চায়েত ভোটের ব্যাপক কারচুপি, ২০২১ সালে বিধান সভা ভোটে যে হিংসা ও গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটে আর্থিক লেনদেন, হিংসা রোধে কড়া নজরদারি চালাতে চায় কমিশন। সেজন্য বিতর্কিত কোনও প্রশাসনিক কর্তাকে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কাজে লাগাতে চায়না কমিশনের আধিকারিকরা। সেজন্য সারদা কাণ্ডের তদন্তে তথ্য প্রমান লোপাটের দায়ে অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে ডিজি পদ থেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

শনিবার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে এই নির্দেশ দেয় কমিশন। সেই নির্দেশ মোতাবেক গত সোমবার রাজীব কুমারকে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদ থেকে অপসারিত করে এডিজি বিবেক সহায়কে অন্তর্বর্তী ডিজি করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার বিবেককে সরিয়ে আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে স্থায়ীভাবে ডিজি করা হল।

নির্বাচন কমিশনের এই কঠোর সিদ্ধান্তে দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর পদ্ধতিগত পদক্ষেপকে সহজভাবে মেনে নিতে পারছেননা। মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও সান্তনু সেনরা। ডেরেক ইতিমধ্যে মঙ্গলবার সকালেই নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা হারিয়েছেন। তিনি সুপ্রিমকোর্টের তদারকিতে নির্বাচন পরিচালনা আবেদন করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্ট করার পর দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন বাবুল সুপ্রিয় ও সাগরিকা ঘোষ। তাঁরা মোদী সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের সমালোচনা করতে শুরু করেন। এমনকি সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে মোদী সরকারের কালো দিক বলে উল্লেখ করেন।

তবে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, ‘রাজীব কুমারের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে তৃণমূলের প্রতি আনুগত্যই তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।’

Related posts

Leave a Comment