সংবাদ কলকাতা, ৭ মার্চ: সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বর্তমান রাজ্য রাজনীতি সরগরম। দীর্ঘ প্রায় ৫৬ দিন টালবাহানার পর রীতিমত উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাজাহানকে। তারপর নাটকীয় ভাবে এই কেসের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসনের হেপাজতে নাকি বহাল তবিয়তে ছিলেন সন্দেশখালির ত্রাস। কিন্তু আবারও পাশকা উল্টে দিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটের মধ্যে শাজাহানকে সিবিআই এর তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপর শুরু হয় আবারও এক নাটকীয় মুহূর্ত। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর তিন দিনের স্থগিতাদেশ দাবি করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে চরম টালবাহানার পর হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বুধবার বিকালে শেখ শাজাহানকে সিবিআই এর তুলে দেয় রাজ্য প্রশাসন।
সূত্রের খবর, হস্তান্তরের আগে পর্যন্ত শাজাহান জানতই না তাকে সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়ার পর কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তার পর শুরু হয় নথি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। শাজাহানকে হাতে পেয়ে ইএসআই জোকাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে হেপাজতে নেয় সিবিআই এবং তাকে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে। তার পর থেকেই চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। সিল করা হয় তার বাড়ি। এছাড়াও শাজাহানের বিপুল সম্পত্তির খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।