সংবাদ কলকাতা: মমতার সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে সমালোচনার ঝড়! তেড়েফুঁড়ে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতার লজ্জা থাকলে সাংবাদিক বৈঠক করতেন না। তাঁর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে।
মমতা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি নমিনেশন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ছাপ্পা ও গণনার সময় কারচুপি, কোনও অভিযোগই মানতে রাজি নন। মমতা পাল্টা ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উদাহরণ টেনে আনেন। মমতা বলেন, “ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে। বিজেপির সাহস নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। এতদিন সহ্য করে গিয়েছি। লেবু বেশি কচলাতে কচলাতে তেতো হয়। একটাও কথা বলিনি এতদিন।”
মমতা আরও বলেন, “ভাঙড়ে কীভাবে হঠাৎ রাতের বেলায়, বাইরে থেকে গুণ্ডা জোগাড় করে রেখে দিয়েছিল। একটা স্কুলের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। সেখান থেকে বিডিওকে গায়ের জোরে লিখিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তো সেন্ট্রাল পুলিশ ছিল। আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ থাকলে তাকেও তো গ্রেফতার করত! আমি খুশি হতাম। আরাবুল তো হেরে গিয়েছে। কিন্তু আরাবুলের সিট হারা নয়। তবুও শান্তির জন্য কিছু বলিনি। একটা দুটো সিট আমার কাছে ম্য়াটার নয়। আমার কাছে ম্যাটার হল মানুষ। এত ভায়োলেন্স ভায়োলেন্স করে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে আপনারা আমাদের বদনাম করলেন। আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। বাংলার বদনাম যারা করেছে. বাংলার সম্মান নিয়ে যারা খেলেছে, একমাত্র ভেজাল ব্যবসার স্বার্থে, তাদের চিনে রাখুন। ক্ষমা সবসময় হয় না। অনেক কিছু মিথ্যে শিখিয়েছে। বলছে, বলো বলো ভোট দিতে দেয়নি। আপনারা আমায় দেখান তো কোনও ইলেকশনের পরে, ৭০০র বেশি এলাকায় রিপোল হয়েছে। কোনও ঘটনা ছাড়াই আমাদের এলাকাতেও আমরা রিপোল করিয়ে দিয়েছি। কারণ, সেটা ভুল ছিল বলে। ইলেকশন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে রিপোল করিয়েছেন। রিটার্নিং অফিসারদের থেকে নিয়ে। আমরা রিপোল মেনে নিয়েছি। একমাত্র ভাঙড়ের কাউন্টিংয়ের ইনসিডেন্ট ছাড়া কোথাও কোনও ঘটনা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল।”
প্রসঙ্গত এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের এই সুনামির মাঝেও আইএসএফ আটকে দিল আরাবুলের যাত্রা। পরাজিত হল টিম আরাবুল। অথচ বাম আমল থেকে পোলেরহাট ২ থেকে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন আরাবুল ইসলাম। সেই থেকে তাঁর উত্থান শুরু হয়। কিন্তু তৃণমূলের এই সুনামির মাঝেও বোঝা গেল আইএসএফ-এর জেগে ওঠা শক্তির কাছে আরাবুল বাহিনী কতটা অসহায়।