শিলিগুড়ি, ২৫ জুলাই: শুরু শ্রাবণ মাস। প্রথম সপ্তাহের সোমবার শিবের মাথায় জল ঢালতে মন্দিরে মন্দিরে ভিড় জমেছিল পুন্যার্থীদের। এর অন্যথা হয়নি শিলিগুড়ি লাগোয়া বাগডোগরার জংলীবাবা মন্দিরে। সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বনাঞ্চলের ভিতর মন্দির হওয়ায় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের ভেতরে প্রবেশের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে মন্দিরে ভিড় করছেন শিলিগুড়ি শহর এবং শহর লাগোয়া মানুষ। দূর দুরান্ত থেকে পুজো দিতে আসছেন ভক্তরা। সকাল থেকেই ছিল দীর্ঘ লাইন। আনুমানিক ১৯৬২ সালে এই শিবমন্দিরটি মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকে পুজো দিতে আসেন ভক্তরা। এই মন্দিরের মূল দায়িত্বে রয়েছে ব্যাংডুবি সেনাবাহিনীর জাওয়ানরা। বনাঞ্চল হওয়ায় এই মন্দিরটি বনদপ্তরই দেখাশোনা করে থাকে। প্রতিনিয়ত এই জঙ্গলে হাতির আনাগোনা থাকায় বিভিন্ন জায়গায় বনকর্মীদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এ বছর বনদপ্তর জনপ্রতি ২০ টাকা ও বাইক পার্কিংয়ের জন্য ২০ টাকা নেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কারণ সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব থাকায় মন্দিরে প্রবেশ করতে কোনো টিকিট লাগে না। তবে বনদপ্তর এবছর কেন প্রবেশের সময় টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন সে বিষয়ে বনদপ্তরের আধিকারিকদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এসবের মাঝেই পুজো ঘিরে উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়েছে। মন্দির থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বসেছে ছোট মেলা। অন্যদিকে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।