মাথাভাঙা, ২ ফেব্রুয়ারি: দুই পরিবারের বিবাদ। যার জেরে শীতলকুচির পেটলা নেপড়ায় চলল বোমা ও গুলি। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য রাস্তায় এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক এলাকায় ছড়ায়। গুলিবিদ্ধ হন এক পথচারী যুবক। ওই যুবক মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় শুরু হয়েছে পুলিশি টহলদারি।
এই ঘটনায় আনন্দ বর্মন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনের নাম জড়িয়েছে। বোমা ও গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ একটি পরিবারের দুই ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিস বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষ বাংলাদেশে চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে গন্ডগোলের জেরে একপক্ষের একজনকে আটকে রাখে অন্যপক্ষের লোকজন। অন্য পক্ষের লোকেরা আটক ব্যক্তিকে দলবল নিয়ে ছাড়াতে এসে বোমা গুলি চালায়। আটক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে আক্রমণকারীরা। শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, গুলি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। তবে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে কে কে যুক্ত আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বিকেলে লাল মিঁয়া নামে একব্যক্তির বাড়িতে আচমকা হামলা চালায় দুই জন দুষ্কৃতী। চলে বোমা ও গুলি। লাল মিঁয়া এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র অবস্থায় তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর একনাগাড়ে বোমা ও গুলি ছুঁড়তে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে এই গুলির লড়াই চলে। এই ঘটনায় মহাবর মিঁয়া নামে এক পথচারী যুবকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি ওই সময়ে বড় মরিচা থেকে শীতলকুচির দিকে আসছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ওই যুবককে শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেও পরে মাথাভাঙা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই জখম যুবক চিকিৎসাধীন আছেন।
previous post
